বিশেষ প্রতিনিধি :
র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবত পালিয়ে থাকা বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভূক্ত আসামিদের গ্রেফতার এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি ও বিবিধ প্রতারক চক্রের দ্বারা সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধর্ষণের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় র্যাব-৬ কর্তৃক উক্ত আসামিদের আইনের আওতায় আনতে আভিযানিক দল কর্তৃক গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ১১ মার্চ ২০২৫ র্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল দিবাগত রাত ০১১০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা জেলার সদর থানাধীন মহাদেবনগর এলাকা হতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি (১) সুকুমার বিশ্বাস (৪৩), পিতা-গোবিন্দ বিশ্বাস, গ্রাম-বেড়াডাঙ্গী, থানা-পাটকেলঘাটা, জেলা-সাতক্ষীরাকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামিকে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ভিকটিম একজন পিতৃহারা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন নাবালিকা।ভিকটিমের মা বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ঝি এর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে সংসার চালায়। আসামি বিভিন্ন সময়ে ভিকটিমের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত এবং ভিকটিমকে প্রলোভন দেখিয়ে কু-প্রস্তাব দিত। ঘটনার দিন ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ সন্ধ্যায় ভিকটিমের মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে উক্ত আসামি ভিকটিমের ঘরে প্রবেশ করে ভিকটিমকে একা পেয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর-পূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা ভিকটিমের থেকে ধর্ষণের বিষয় জানতে পেরে ১১ জানুয়ারি ২০২৫ আসামি সুকুমার বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। উক্ত ধর্ষণের বিষয় জানতে পেরে র্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল আসামিকে গ্রেফতারের জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে।