পাইকগাছা ( খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার পাইকগাছার লক্ষ্মীখোলার বিরোধপূর্ণ বাউখোলা (বদ্ধ নদী)’র মৎস্য ঘের দখল চেষ্টা ও মারপিটসহ ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৎস্য ঘের মালিক সেলিম জাহাঙ্গীর জানান মঙ্গলবার ভোর ৬ টার দিকে প্রতিপক্ষরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ নিয়ে দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এদিকে স্থানীয়রা আশংঙ্কা করছেন ঘেরের দখল পাল্টা দখল নিয়ে যে কোন মুহুর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে।
উপজেলার লতার আবু বক্কর মোড়লের ছেলে সেলিম জাহাঙ্গীর জানান এলাকার ২২ জন বন্দোবস্ত প্রাপ্ত লোকের নিকট থেকে ৫ বছর মেয়াদি ডিডমূলে চলতি বছর থেকে বাউখোলা বদ্ধ মৎস্য লীজ ঘের পরিচালনা করে আসছি। মঙ্গলবার ভোরে শিমুল, ইমরান, সম্রাট-তুহিনসহ প্রতিপক্ষরা লাঠিসোটা নিয়ে মৎস্য ঘের দখলের চেষ্টা করে । এ সময় বাঁধা দিলে তারা ঘের কর্মচারী রনি ও ওসমানকে মারপিট, বাসাবাড়ি ভাংচুর ও মাছ ধরে নিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
এদিকে জলমহালের ৩৩ একর জমির মধ্য হতে ৪’৮৬ একর জমি লস্কর ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে অফিসের কর্মচারি আরাফাত ও লক্মীখোলার শহিদুল মোল্লার ছেলে সাদ্দাম হোসেন কে বাংলা ১৪৩১ সনের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত খাস আদায় ও সরকারী স্বার্থরক্ষায় দেখাশুনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সাদ্দাম সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে প্রথমে ইমরান ও সম্রাট এবং পরে শিমুলের কাছে ইজারা দেওয়ার মাধ্যমে শর্ত ভঙ্গ করলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম লিখিত ভাবে সাদ্দাম হোসেনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ভূমি অফিসের বিকাশ পাল ও আরাফাত গাজীকে পুনরায় দেখভালের দায়িত্ব দেন।
এদিকে মৎস্য ঘের দখল চেষ্টা, মারপিট ও মাছ ধরা সম্পর্কে জানতে চাইলে সাদ্দাম হোসেন বলেন এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি।
উল্লেখ্য মৎস্য লীজ ঘের নিয়ে ইতোপূর্বে দখল ও পাল্টা দখল চেষ্টা, বাসাবাড়ী ভাংচুর, ক্ষয়ক্ষতির ঘটনার অভিযোগে দু’পক্ষই পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে একে অপরের দোষারোপ করেছেন। এবং এ ঘটনায় প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে বলে ঘের মালিক সেলিম জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন।