
পাইকগাছা ( খুলনা) প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে “Indigenous Shrimp Probiotics” শীর্ষক ফলাফল উপস্থাপন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অডিটরিয়ামে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট (SCMFP) এর আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অ্যাকুয়াটিক এনিমেল হেলথ্ গ্রুপ কর্তৃক বাস্তবায়িত “দেশীয় প্রোবায়োটিক্স” শীর্ষক উপ-প্রকল্প এর আওতায় গুরুত্বপূর্ণ এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. মামুন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল্যবান মতামত প্রদান করেন। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মৎস্য অধিদপ্তর ও বিভিন্ন চিংড়ি হ্যাচারির মধ্যে কোলাবোরেশনের মাধ্যমে এ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণা চলমান রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মামুন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সম্মানীত অতিথি ছিলেন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট এর উপপরিচালক বরুন চন্দ্র বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ এনামুল হক, কক্সবাজার বিএফআরআই এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান, এবং নিরিবিলি গ্রুপ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ রহমান।
কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, শের-এ-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কক্সবাজারের বিভিন্ন চিংড়ি হ্যাচারির মালিক, ম্যানেজার ও টেকনিশিয়ানরা অংশগ্রহণ করে দেশীয় প্রোবায়োটিক্সের মাস্ কালচার প্রজেক্টটি সম্পর্কে তাঁদের মূল্যবান মতামত প্রদান করেন। কর্মশালাটি ছিল অত্যন্ত প্রাণবন্ত, ইন্টারঅ্যাকটিভ এবং সকল স্টেকহোল্ডারগণ গবেষণার ফলাফলকে আন্তরিকভাবে প্রশংসা করেন। গবেষক দল এবং হ্যাচারি পর্যায়ে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণমূলক সহযোগিতা এবং প্রযুক্তিটি গ্রহণের গুরুত্ব বিশেষভাবে আলোচিত হয়, যা বাংলাদেশের চিংড়ি হ্যাচারি খাতে বাস্তবভিত্তিক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে।
প্রকল্পের প্রধান গবেষক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুর রহমান, সহযোগী গবেষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শাওন আহম্মেদ।