সর্বশেষ:

macher durghondhe beboharer onupojogi pani

সরকারি পুকুরে বিষ প্রয়োগ ; মরা মাছের দুর্গন্ধে ব্যবহার অনুপযোগী পুকুরের পানি

macher durghondhe beboharer onupojogi pani
Facebook
Twitter
LinkedIn

পাইকগাছা ( খুলনা) প্রতিনিধি

খুলনার পাইকগাছার বাঁকা সরকারি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরায় মরা মাছের দুর্গন্ধে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে পুকুরের পানি। পুকুর ছেড়ে দেওয়ার পূর্ব মুহূর্তে স্থানীয় আওয়ামী ও যুবলীগের লোকজন বুধবার ভোররাতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরার পর অন্যান্য মাছ মরে গিয়ে পুকুরের দুর্গন্ধময় পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুকুর সংলগ্ন আবাসনের বাসিন্দারা।

এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মালেক জোয়ার্দার সহ স্থানীয় ৩ জনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন আবাসনের সভাপতি কামরুল জোয়ার্দার। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের বাঁকার বাগ আবাসন এলাকায় প্রায় ৩ বিঘা আয়তনের একটি সরকারি পুকুর রয়েছে। পুকুরটি আবাসনের ৩২ পরিবার সহ এলাকাবাসী গোসল সহ গৃহস্থালির অন্যান্য কাজে পুকুরের পানি ব্যবহার করে থাকে। আবাসনের বাসিন্দা সহ এলাকাবাসীর অভিযোগ একই এলাকার মালেক জোয়ার্দার (৬২), রাহুল জোয়ার্দার (৩৩) ও জালাল জোয়ার্দার (৪৫) সহ স্থানীয় আওয়ামী ও যুবলীগের কয়েকজন মিলে বিগত কয়েক বছর পুকুরে মাছ চাষ করে আসছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর স্থানীয় লোকজন পুকুরটি উম্মুক্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার ভূমি কে অনুরোধ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় রাড়ুলী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন, সে অনুযায়ী এক সপ্তাহের মধ্যে পুকুরটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাদের কে বলা হয়। এদিকে পুকুর ছেড়ে দেওয়ার শেষ মুহূর্তে বুধবার ভোররাতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরে নেয় মালেক গংরা। স্থানীয় মতিয়ার রহমান গাজী বলেন মালেক- জালালরা পরিকল্পিতভাবে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরেছে। ফলে মাছ ধরার পর অন্যান্য মাছ মরে গেছে। মালেক জালালদের কারণে ভালোভাবে কখনো পুকুরের পানি ব্যবহার করতে পারিনি বলে অভিযোগ করেন শাহিদা বেগম। বুধবার সকালে পুকুর থেকে বেশ কিছু মরা মাছ কুড়িয়েছেন বলে দেখান রুপবান বিবি। বর্তমানে মরা মাছের গন্ধে আবাসনে থাকা দায় হয়ে পড়েছে বলে জানান তাহমিনা বেগম। আবাসনের সভাপতি কামরুল জোয়ার্দার বলেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাছ ধরে নেওয়ার কথা রয়েছে শুনেছি। কিন্তু তারা স্বাভাবিক পদ্ধতিতে মাছ না ধরে ইচ্ছে করেই বিষ দিয়ে প্রয়োগ করে মাছ ধরেছে। যা আইনগত ভাবে অন্যায়। বর্তমানে দুর্গন্ধে গোসল সহ আবাসনের বাসিন্দারা কেউ পুকুরের পানি ব্যবহার করতে পারছে না। ‘

এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মালেক- জালালদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবাসনের সভাপতি কামরুল জোয়ার্দার। রাড়ুলী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জালাল আহমেদ বলেন পুকুর টি উম্মুক্ত করার জন্য ইউএনও মহোদয় নির্দেশনা দিয়েছেন। সে মোতাবেক মালেক জালালরা শনিবারের মধ্যে মাছ ধরে নিয়ে পুকুরটি ছেড়ে দিবে এমন কথা রয়েছে।বিষ প্রয়োগের বিষয়টি এলাকার অনেকেই বলেছে। এটা সম্পূর্ণ অন্যায় এবং পরিবেশ বিরোধী এধরণের কোন সুযোগ নাই এবং এটা সঠিক হয়নি বলে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের স্থানীয় এ কর্মকর্তা জানান।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana