বার্সেলোনার বিশ্বখ্যাত একাডেমি লা মাসিয়া থেকে উঠে এসে মাত্র ১৭ বছরে কাতালানদের আক্রমণের প্রাণবন্ত তারকা হয়ে উঠেছেন লামিন ইয়ামাল। কোপা দেল রে’র ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে ৩-২ গোলের জয়ে দুইটি অ্যাসিস্ট করে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হচ্ছেন তিনিই। ম্যাচ শেষে ক্লাসিকো প্রতিপক্ষ নিয়ে দেওয়া তাঁর মন্তব্য স্প্যানিশ মিডিয়ায় সরগরম সৃষ্টি করেছে। “আমি যখন মাঠে জিতি, তখন কারো—বিশেষ করে রিয়ালের—কথা বলার সাহস থাকে না,” সংবাদ সম্মেলনে জানালেন ইয়ামাল। “তারা যদি জয়ী হয়, তখনই আবার কথা বলুক।”
গত শনিবারের ক্লাসিকোতে এটি ছিল রিয়ালের বিরুদ্ধে বার্সার ধারাবাহিক তৃতীয় জয়—বার্নাব্যুতে ৪-০, সুপারকোপার ফাইনালে ৫-২, এবং এবার কোপা ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে ৩-২। এই উন্মাদনা শেষ হতেই এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে ইয়ামালরা।
এই সেমিফাইনালই লামিন ইয়ামালের বার্সা জার্সিতে শততম ম্যাচ, অথচ বয়স মাত্র ১৭! মাঠে নামলেই যেন সমস্ত চাপ ম্লান হয়ে যায় তার; “ভয় তো অনেক আগেই ভাগ করে দিয়েছি,” বললেন তিনি, “মাত্র একটু উত্তেজনা আছে, যা আমার জন্য ইতিবাচক।”
ডানদিকে কাটানো আক্রমণ, বল দখল এবং গোল তৈরি—ইউনিসে মেসির সঙ্গে তুলনা থাকলেও ইয়ামাল নিজেকে অন্যরকম পথ দেখছেন: “মেসি সেরা, সেটা মানি, কিন্তু আমি কারো ছায়া হয়ে খেলতে চাই না।”
কোপা দেল রে জয়ের পর বার্সা এখনও লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দৌড়ে আছে। ইন্টার মিলানের বিরুদ্ধে সেমিতে হ্যান্সি ফ্লিক সতর্ক করে বলেন, “রিয়ালের বিপক্ষে জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে, তবে ইন্টারকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না—তাদের মাঝমাঠ অভিজ্ঞ, ফরোয়ার্ড শক্তিশালী আর কাউন্টার অ্যাটাক দ্রুত।”
ইন্টার সাম্প্রতিক তিন ম্যাচেই হেরে গেছে, তবে ফ্লিকের মন্তব্য, “চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এসব কাজে আসে না, তাদের এখন শেষ সুযোগ ফাইনালে ওঠার—তাই মরিয়া থাকবে। আমাদেরও শতভাগ দিতে হবে।”
বার্সার স্কোয়াডে এবারে নেই রবার্ট লেভানদোভস্কি ও আলেহান্দ্রো বালদে; ইন্টার দলে ফিরেছেন মার্কুস তুরাম, তবে বেঞ্জামিন পাভার্ডের চোটের কারণে তিনি দূরে থাকবেন।
রিয়ালকে ‘শিশু দল’ আখ্যা দিয়ে লামিন ইয়ামাল এবার ইউরোপের মঞ্চেও আগুন ঝাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ক্লাসিকোর তাণ্ডবের পর এবার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইন্টার মিলান কে কী উত্তর দেবেন, দেখার বিষয়।