
বিশেষ প্রতিনিধি,খুলনা :
খুলনার সোনাডাঙ্গার সবুজবাগ এলাকায় অবস্থিত মেট্রোপলিটন কলেজে ভুয়া নিয়োগপত্র,স্বাক্ষর জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ দিবাকর বাওয়ালীর নাম ব্যবহার করে জাল স্বাক্ষরসহ ভুয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে প্রায় ৩০-৩৫ জনের কাছ থেকে কোটি টাকার বেশি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন একাধিক ভুক্তভোগীরা ও কলেজের অধ্যক্ষ দিবাকর বাওয়ালী। অভিযোগ সূত্র প্রকাশ, কলেজের প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান হিরু) ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মাহাবুবুর রহমান শামীম সহ কিছু শিক্ষক-কর্মচারী ও বাইরের কয়েকজন ব্যক্তি একটি চক্র গঠন করে ভুয়া নিয়োগের মাধ্যমে অর্থ আদায় করছিলেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। জানা যায়, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ দিবাকর বাওয়ালীর স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বেশি আদায় করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগের ভিতরে রয়েছে, ভুয়া কমিটি গঠন, ঘুষের নামে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে মিনিস্ট্রি অডিটের সময় ১০ হাজার টাকা করে উত্তোলন করে এবং জাল সার্টিফিকেট ধারীদের কাছ হতে কয়েক লক্ষ টাকা উত্তোলন এর অভিযোগ সহ বহু অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও কলেজের গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরিক কাগজপত্র ও ডকুমেন্ট গায়েব করে ফেলার অভিযোগ সহ অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে রুমের তালা ভেঙে অধ্যক্ষের রুম দখল নেওয়ার ঘটনা ও ঘটেছে এবং অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ তাইফুজ্জামান কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা বিভিন্ন সময়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ভারত, মালেশিয়া, থাইল্যান্ডে গিয়েছে কোন কোন শিক্ষক কর্মচারী তথ্য গোপন করে তিন বারও ভারতে গমন করিয়াছেন। তার প্রমাণ পত্র আমাদের হাতে পৌঁছেছে। প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষের অভিযোগ, গত ২ জুন ২০২৫ তারিখে কলেজ ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে বসে অভিযুক্তরা বহিরাগতদের মাধ্যমে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। এ ঘটনায় তিনি ৪০ লাখ টাকার চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নাম্বর ১১১১/২৫।
তিনি আরো বলেন, কলেজের প্রভাষক মাহাবুবুর রহমান শামীম এর আগেও ২০০৬ সালে কলেজের ২৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েছিলেন, যা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। পরে তিনি লিখিতভাবে ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না বলে অঙ্গীকারনামা দাখিল করেন। বর্তমানে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ২৮ টির বেশি ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা ও অভিযোগ বিচারাধীন রয়েছে। জাল নিয়োগ, জাল সার্টিফিকেট ও অবৈধ এমপিও ভুক্তির অভিযোগে আরও কয়েকটি নতুন মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানা গেছে। ইতি মধ্যে বর্তমান সরকার অধ্যক্ষ মহোদয়ের বেতন ভাতা ছাড় করনের জন্য কয়েকবার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন কিন্তু বর্তমান অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইএফটি তে বিনা কারণে বেতন ভাতা আটকে রেখেছে যার পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ মহোদয় ক্ষতিপূরণ সহ এক কোটি টাকার মামলা দ্বায়ের করছেন। অধ্যক্ষ দিবাকর বাওয়ালী জানিয়েছেন, তার স্বাক্ষর ব্যবহার করে বা কলেজের নাম ভাঙিয়ে কেউ অর্থ চাইলে তিনি কোনো ভাবেই তার দায় নেবেন না। মিথ্যা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় কয়েকটি নিয়োগপত্রে জাল স্বাক্ষর ধরা পড়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এ ঘটনায় তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে। তাছাড়া কলেজের অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাইফুজ্জামান, প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান হিরু প্রভাষক মাহাবুবুর রহমান শামীম, প্রভাষক সরিফুল ইসলাম, প্রভাষক মাহাবুবুর রহমান মোড়ল এদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছে যাহ্য তদন্তাধিন। যদি কোন ব্যক্তি এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ ও ভূয়া কাগজ পত্র নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র করার অপচেষ্টা করে তবে তাহাদের বিরুদ্ধে ও কলেজের উক্ত শিক্ষকদের মতন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তদন্ত শেষে দায়ীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান। বলেন আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক না















