এস,এম,আলাউদ্দিন সোহাগ,পাইকগাছা ( খুলনা )
খুলনার পাইকগাছায় কাঁচা আম চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা আমের চাহিদা ও দাম বেশি থাকায় বাগান মালিকরা এখনই গাছ থেকে অপুষ্ট আম পেড়ে বিক্রি করছে। অন্য যে কোন বছরের তুলনায় এবার কাঁচা আমের দাম ও চাহিদা বেশি। ফলে কাঁচা আমে ভরে গেছে বাজার। বাজারগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে কাঁচা আম কেনা-বেচা শুরু হয়েছে। উপজেলায় পাইকারী ব্যবসাহীদের আগমণ বাড়ায় প্রতিদিন শত শত মণ আম বেচাকেনা হচ্ছে। প্রতি মণ আম ১২ শত টাকা থেকে ১৫ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঝড়ে গাছ থেকে আম পড়ে ক্ষতি হওয়ায় আগে কাঁচা আমের দাম ভালো পাওয়ায় আম চাষিরা খুশি।
তীব্র দাবদাহে গোটা জেলার মানুষ বিপর্যস্ত। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সব ধরনের ফসল। তবে বেশি শঙ্কায় আম চাষিরা। গরমে আম ঝরে পড়ছে। কোনো উপায় না পেয়ে কাঁচা আম বিক্রি করছেন। এসব কাঁচা আমের আটি এখনো শক্ত হয়নি। আম চাষিরা বলছেন, কালবৈশাখীসহ উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ের শঙ্কা বেশী। তারা যেন লোকসানের মুখে না পড়ে তাই কাঁচা আম বিক্রি করে কিছুটা পুশিয়ে নিচ্ছে। এ আম আচার ও চাটনির জন্য বিক্রি করা হচ্ছে। এবছর বাজারে কাঁচা আমের পরিমাণ যেমন বেশি তেমনি দামও চড়া। প্রতিদিন পাইকগাছা থেকে থেকে ২-৩ ট্রাক কাঁচা আম দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। নুর ইসলাম জানান, কাঁচা আম কিনে বিভিন্ন কোম্পানি আচার, চাটনি, জেলি, কাঁচা আমের জুসসহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার তৈরি করে। তাই বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা পাইকগাছা থেকে আম কিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাচ্ছেন। আম ব্যবসায়ী রহমান বলেন, বর্তমানে যে কাচা আমগুলো বাজারে বিক্রি হচ্ছে, সেগুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরি করা হয়। বিভিন্ন কোম্পানি এই আম আমাদের থেকে সংগ্রহ করছে। তাছাড়া তীব্র গরমে আমের চাটনির জন্য কাঁচা আমের চাহিদা বেড়েছে। ঢাকা শহরে ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে।
পুষ্টি বিশেজ্ঞরা বলছেন, কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকে। বিশেষ করে, ওজন কমাতে, বমি ভাব দূর করতে, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, চুল ও ত্বক উজ্জ্বল করতে। এছাড়া ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন বলেন, অপুষ্ট কাঁচা আমের চাহিদা ও দাম বেশী পাওয়ায় চাষীরা লাভবান হচ্ছে। দাবদাহে আম ঝরে পড়া রোধ করতে চাষিদের সেচসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।