কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বলেছেন দেশে বহু রাজনৈতিক দল বিদ্যমান রয়েছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন বলেই আজ তারা রাজনীতি করতে পারছে। তিনি জামায়াত কে ইঙ্গিত করে বলেন একটি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কে বিলম্বিত করতে চাই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ উৎখাতের পর গোটা জাতি যেখানে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।
তখন তারা যথাসময়ে যাতে নির্বাচন না হতে পারে এজন্য পিআর পদ্ধতির নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এরা গণতন্ত্র এবং দেশের কল্যাণ চাই না উল্লেখ করে জয়ন্ত কুমার বলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থান সহ দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপির অগ্রনী ভূমিকা রয়েছে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৯ বছরের আন্দোলনে স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়েছিল বলেই বিএনপির সুবাদে একটি দল সরকারের অংশ হয়েছিল, জাতীয় পতাকা পেয়েছিল। এটা তাদের মনে রাখা উচিত। দলটি সাধারণ সহজ সরল মানুষ কে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্ত করছে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত ঘোষ বলেন এরা মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মা- বোনদের বেহেশতে যাওয়ার কথা বলে দলে ভিড়ানোর অপচেষ্টা করছে, যা ধর্ম বিরোধী কাজ। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন চাঁদাবাজি, শালিস করা, খাসজমি দখল করা আমাদের কাজ নয়, এর জন্য প্রশাসন আছে। আমাদের কর্মকাণ্ডে মানুষ যেন অসন্তুষ্টি না হয় সেদিকে সবাই কে লক্ষ রেখে নির্বাচন বিরোধী সকল অপশক্তি এবং ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাই কে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বৃহস্পতিবার সকালে খুলনার পাইকগাছা পৌরসভা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ-সব কথা বলেন। পাইকগাছা পৌরসভা মাঠে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু।
পৌর আহবায়ক আসলাম পারভেজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোল্লা খায়রুল ইসলাম, শেখ তৈয়েবুর রহমান, এনামুল হক সজল, জেলা নেতা সুলতান মাহমুদ, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডাঃ আব্দুল মজিদ, সদস্য সচিব এসএম ইমদাদুল হক, ইমাদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সেলিম রেজা লাকি, কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ ও এসএম মোহর আলী। উল্লেখ্য দুই যুগ পর পাইকগাছা পৌরসভা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি পদে আহবায়ক আসলাম পারভেজ ও সাবেক জেলা নেতা মিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক পদে কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ ও সেলিম রেজা লাকি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এসএম মোহর আলী, মনিরুল ইসলাম মন্টু ও শেখ রুহুল কুদ্দুস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ব্যাপক উৎসবমুখর পরিবেশে দুপুর ২ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে আসলাম পারভেজ সভাপতি, কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ সাধারণ সম্পাদক, শেখ রুহুল কুদ্দুস ও মনিরুল ইসলাম মন্টু সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশনার ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা জিএম মিজানুর রহমান।