পাইকগাছা ( খুলনা) প্রতিনিধি
পাইকগাছার পুরাইকাটীর আলোচিত ( ফাইভ স্টার - এনএসবি) ইটভাটা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আবারো চরম বিরোধ তৈরী হয়েছে। একদিকে পূর্বের মালিকের পক্ষে ভাটার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, অপরদিকে দখলে থাকা মালিক পক্ষ ভাটার নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে। এনিয়ে রোববার সকালে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উভয় পক্ষ কে নির্দেশনা দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে।
জানা গেছে উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের কপোতাক্ষের তীরে পুরাইকাটী মৌজায় একটি ইটভাটা রয়েছে। আলোচিত ইটভাটাটি নিয়ে দীর্ঘদিন বিভিন্ন পক্ষের বিরোধ চলে আসছে। ইতোমধ্যে একাধিক দখল পাল্টা দখল, হামলা মামলার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে ভাটাটি অ্যাডভোকেট এসএম মুজিবর রহমান গংদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মুজিবুর রহমান ,মিরাজুল ইসলাম মিরাজ,হাবিবুর রহমান সানা ও গোলাম মোস্তফা গংরা ডিড মূলে ফাইভ স্টার নামে বিগত দুই বছর যাবৎ যৌথভাবে পরিচালনা করে আসছে। এর কয়েক বছর আগে শাহিনুর রহমান মাষ্টার এনএসবি নামে ইটভাটাটি পরিচালনা করতো। ওই সময় শাহিনুর রহমান বিপুল পরিমাণ টাকা ঋন গ্রস্ত হয়ে ভাটার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এদিকে এলাকার বহু মানুষের পাওনা টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় শাহীন মাষ্টার। ইটভাটা হাতবদল হয়ে গেলে বিপাকে পড়েন পাওনাদাররা। পাওনাদারদের অনেকেই শাহীন মাষ্টারের বিরুদ্ধে মামলা ও করেন। শাহীন মাষ্টার এলাকা থেকে চলে গেলে বর্তমান ইটভাটা মালিক পক্ষ অর্থাৎ মুজিবর গংদের সাথে এই পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার পাশাপাশি একাধিক শালিসি বৈঠক করা হলেও শান্তিপূর্ণ কোন সমাধান না হওয়ায় বিরোধ থেকেই যায়। বর্তমান মালিক পক্ষ কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ভাটাটি পরিচালনা করতে যেমন নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, তেমনি পাওনা টাকা আদায় করতে নানা ধরনের চেষ্টায় থাকে পাওনাদাররা। এমন পরিস্থিতির মধ্যে রোববার পূর্বের মালিক শাহীন মাষ্টারের এলাকার লোকজন ভাটার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করে। দখল চেষ্টার আশঙ্কায় আসাদুল সরদার বাদী হয়ে সাবেক মালিক শাহিনুর রহমান সহ প্রতিপক্ষদের থানায় জিডি করে। যার নং ২২২। এনিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উভয় পক্ষ কে নির্দেশনা দেয়। এব্যাপারে আব্দুস সাত্তার ও জাফর বলেন আমরা বহু মানুষ শাহিনুর রহমানের নিকট বিপুল পরিমাণ টাকা পাইবো। আমরা আইনগত ও শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি। এখনো ইটভাটাটি পূর্বের এনএসবি লাইসেন্স দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে। এজন্য আমরা শাহিনুর রহমানের পক্ষে ইটভাটার নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায়। তবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হলে ভাটা কিংবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আলোচনায় বসতে কোন অনিহা নাই বলে তারা জানান।
এ বিষয়ে বর্তমান ভাটা মালিক অ্যাডভোকেট মুজিবর রহমান ও মিরাজুল ইসলাম মিরাজ জানান,আমরা ডিড মুলে ন্যার্য্য হারির টাকা দিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভাটা পরিচালনা করছি। এ মৌসুমে ভাটায় এখনো ১৬ লাখ ইট আছে। কোন কিছু না জানিয়ে শাহিনুর রহমান গংরা রোববার লোকজন নিয়ে অবৈধ ভাবে জোরপূর্বক ইটভাটা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে।