আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। একইসঙ্গে, হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত আইসিসি এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর আগে মে মাসে আইসিসির কৌঁসুলি করিম খান হামাসের তৎকালীন প্রধান ইসমাইল হানিয়া, গাজার হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ এনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছিলেন।
করিম খান সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার ঘটনায় সিনওয়ার, হানিয়া ও দেইফের বিরুদ্ধে ‘ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ, হত্যার পরিকল্পনা, লোকজনকে জিম্মি করা, ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের’ মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে রয়েছে বেসামরিক লোকজনকে টার্গেট করা, মানবিক সহায়তা বন্ধ করে ক্ষুধাকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধের অভিযোগ।
হানিয়া ও দেইফ ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গত জুলাইয়ে ইরানের এক হামলায় হানিয়া এবং গাজায় বিমান হামলায় দেইফ নিহত হন। হানিয়ার মৃত্যুর পর হামাসের প্রধান হন সিনওয়ার, যিনি গত অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন।
হামাসের হুঁশিয়ারি: যুদ্ধ বন্ধ না হলে জিম্মি মুক্তি নয়
এদিকে, হামাসের গাজার ভারপ্রাপ্ত প্রধান খলিল আল-হায়া বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো জিম্মি মুক্তি বা বন্দিবিনিময়ের সম্ভাবনা নেই। আল-আকসা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “যুদ্ধ চলাকালে কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ বা এমনকি পাগলও শক্তিশালী কৌশলগত কার্ড ছাড়তে পারে না।”