নিউজ ডেস্ক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও দেশের সংকট কাটেনি। তিনি মন্তব্য করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসলেও জনগণের দুঃখ-দুর্দশা এখনও অবসান হয়নি।
শুক্রবার বিকেলে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় আয়োজিত এক স্মরণসভায় মির্জা ফখরুল বলেন, “যে সরকার এসেছে, তা অস্থায়ী হলেও, তারা নোবেল বিজয়ী একজন নেতার অধীনে রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ তার প্রতি আস্থা রেখেছে। কিন্তু সংকটের সমাধান এত সহজ নয়। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরায় সক্রিয় করতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, দেশের জনগণ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং তারা চান একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি বৈধ পার্লামেন্ট গঠিত হবে, যা দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করবে।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে গণতন্ত্রের সকল স্তম্ভ ধ্বংস করেছে। নির্বাচনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে ফেলেছে। বিভিন্ন নির্বাচনে শুধু নিজেদের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে তারা রাষ্ট্রের ক্ষমতা, পুলিশ, প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করেছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “গত ১৮ বছরে দেশে দুর্নীতির নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা একের পর এক দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হচ্ছেন। কিন্তু এই অবস্থা শেখ হাসিনার সরকারের ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশল মাত্র। তারা জনগণকে নিপীড়ন করে নিজেদের সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। গাজীপুরের পোশাক কারখানাগুলোতে তারা ষড়যন্ত্র করছে। তবে শ্রমিক ও মালিকদের একতার কারণে কারখানাগুলো পুনরায় চালু হয়েছে।”
তিনি হিন্দু সম্প্রদায়কে পূজা উপলক্ষে সতর্ক করে বলেন, “আওয়ামী লীগ পূজার সময় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে। আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং সব ধর্মের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করবো।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলন, যেখানে বক্তারা বিএনপির প্রয়াত নেতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহের স্মৃতিচারণ করেন।
সূত্র: The Daily Star bangla