দাকোপ প্রতিনিধি :
খুলনার দাকোপের লক্ষ্মীখোলা পিচের মাথায় দুই দুইবার ভেঙ্গে যাওয়া পাউবো’র বেড়িবাঁধটিতে গত দুইদিন পর অবশেষে বাঁধটি আটাকাতে সক্ষম। গ্রামবাসীর মধ্যে দীর্ঘ প্রায় ৪৬ ঘন্টার বাঁধ ভাঙ্গা উদ্যোগ আর উৎকন্ঠার অবসন হওয়ায় গ্রামবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বাঁধটি আটকানোর পর এখন চলছে বাঁধটির উপর অন্যান্য কাজ। সজেমিনে ঘুরে এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাগেছে, গত ১৮ অক্টোবর শুক্রবার গভীর রাতে ভদ্রা নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে উপজেলার পাউবো’র ৩১নং পোল্ডারের পানখালী ইউনিয়নের লক্ষ্মীখোলা পিচের মাথা নামক স্থানে ৫০মিটার বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হয়। ১৯ অক্টোবর শনিবার দুপুরে ভাটায় পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে পাউবো’র নেতৃত্বে ভাঙ্গন স্থানে প্রয়োজনীয় বালু ভর্তি টিউব ব্যগসহ অন্যান্য মালামাল ফেলে রাত ওইদিন আনুঃ ৮টার দিকে বাঁধটি আটকাতে সক্ষম হন।
কিন্তু বাঁধটি আটকানোর ৬ ঘন্টা যেতে না যেতেই শনিবার দিবাগত রাত আনুঃ ২টার দিকে ভদ্রা নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে বাঁধ ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকে পড়া নদীর পানি আবারও নেমে গেলে ২১ অক্টোবর দুপুরের আগেই বাঁধটি আটকাতে সক্ষম হয়েছেন। অবশেষে এ বাঁধটি আটকাতে সক্ষম হওয়ায় এখন গ্রামবাসীর মধ্যে এখন স্বস্তি ফিরে এসেছে। ষাটের দশকে নির্মিত ৩১নং পোল্ডারের বেড়িবাঁধে অদ্যবদি পর্যন্ত কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এ পোল্ডারে দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে দ্রুত সংস্কার করা না হলে আবারও আইলারমত মহাবিপর্যয় মানুষের মাঝে নেমে আসতে পারে।
তাই নদী শাসন ও দীর্ঘ স্থায়ীত্বের পরিকল্পনা নিয়ে এ পোল্ডারের বাঁধ নির্মাণের দাবী জানান। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন,লক্ষ্মীখোলা পিচের মাথায় পাউবো’র বেড়িবাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার নদীর পানিতে কৃষকের কয়েক’শ একর জমির রোপা আমন ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যায়। তবে কিছু কিছু কৃষকের আমন ফসলীর জমি নিচু থাকার কারণে সেখানে এখানো পানি তেমন একটা নামেনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুজয় কর্মকার বলেন,লক্ষ্মীখোলা পিচের মাথায় ভেঙ্গে যাওয়া পাউবো’র বাঁধে প্রয়োজনীয় বালু ভর্তি টিউব,ছিনথেক,জিও ব্যাগ ফেলে বর্তমানে পানি ঢোকা বন্ধ করে বাঁধটি আটকানো সম্ভব হয়েছে। এখন বাঁধটি রক্ষার জন্য বাঁধের উপর অন্যান্য কার্যক্রম চলছে। আশাকরি রাতের মধ্যেই সকল কাজ সম্পন্ন করা হবে।