পাইকগাছা ( খুলনা ) প্রতিনিধি
কাজের জন্য ঘুষ নিয়ে কাজ না করায় খুলনার পাইকগাছা উপজেলার এসিল্যান্ডসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এফএমএ রাজ্জাক। তিনি বলেন, আদালত এই বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে জানিয়েছেন।
রবিবার উপজেলার প্রতাপকাটী গ্রামের শওকত শেখ এর পুত্র নজরুল ইসলাম শেখ বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, উপজেলার প্রতাপকাটী মৌজার ৫৫৪/৭৪-৭৫ নং ভিপি লীজ কেসের ইজারা নবায়নের নামে সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম শামীমের নাম করে এই টাকা নেওয়া হয়েছে।
ভূমি অফিসের সাটিফিকেট সহকারী অমর্ত্য বিশ্বাস, সার্ভেয়ার কাওছার আলী, নাজির মোঃ জিহাদ উল্ল্যাহ ও কপিলমুনি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কামাল হোসেনকে আসামী করা হয়েছে। আসামীরা বিকাশের মাধ্যমে ও নগত ৪লক্ষ ২০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন। যাহার অডিও রেকর্ড, ফোন কল লিস্টসহ অন্যান্য প্রমাণ বাদীর কাছে আছে। তবে আসামীরা টাকা নিয়ে বাদী নজরুল কে ইজারা না দিয়ে তার প্রতিপক্ষ কে অবৈধ ভাবে ইজারা দিয়েছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ওই টাকা ফেরত দিতে চান। কিন্তু পরে দেন নাই। আসামীরা টাকা না দিয়ে বাদীকে নানাবিধ ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। তাই তিনি নিরুপায় হয়ে এই মামলা করেন।
তবে বিষয়টি সঠিক নয় জানিয়ে সাটিফিকেট সহকারী অমর্ত্য বিশ্বাস বলেন, মামলা দায়েরের বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু এখনও কোন কিছু আমরা হাতে পাইনি। কাগজপত্র পেলে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারবো। তিনি আরও বলেন, এখানে কাজ করতে গেলে বদনাম হবেই। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সঠিক নয়। এখানে অনেকেই আছেন যারা নিজের স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে দোষ দিতে চেষ্টা করেন।
এব্যাপারে পাইকগাছা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম শামীমের অফিসিয়াল মোবাইল নম্বরে কল দিলে তিনি রিসিভ না করে কেটে দেন।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট এফএমএ রাজ্জাক এ প্রতিনিধি কে জানান, বাদী নজরুল আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি বা টাকা ফেরত পেতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। আবেদনের ২ মাস অতিবাহিত হলেও কোন ফল না পেয়ে আদালতে এই মামলা করেছেন। মামলা দাখিলের পর বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দেখে শুনে পরে আদেশ দেবেন মর্মে জানান।