এস,এম,আলাউদ্দিন সোহাগ,পাইকগাছা ( খুলনা)
খুলনার পাইকগাছায় ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে বৃহস্পতিবার দিনভর ঝোড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি হয়েছে। এমন বৈরী আবহাওয়ার ফলে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যহত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদ-নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হিতামপুর এলাকার বেড়িবাঁধের প্রায় ১শ মিটার নদীতে ধ্বসে যায় ফলে এখানকার জনসাধারণ সহ আতঙ্কে ছিল ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকার মানুষ। ঝুকিপূর্ণ এসব এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার ভূমি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে উপকূলীয় পাইকগাছায় বুধবার দুপুর থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়।
বিকেলে কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও এদিন রাত থেকে আবারো শুরু হয় বৃষ্টি যা বৃহস্পতিবার দিনভর অব্যাহত থাকে। বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়ার কারণে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যহত হয়। বেশিরভাগ মানুষ কে বাড়িঘর ছেড়ে বাইরে আসতে দেখা যায়নি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে থেমে যায় সাধারণ মানুষের সকল দৈনন্দিন কার্যক্রম। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এলাকার নদ-নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হিতামপুরের বেড়িবাঁধের প্রায় ১শ মিটার নদীতে ধ্বসে যায়। এছাড়া গদাইপুর, রাড়ুলী, লতা, দেলুটি, সোলাদানা, লস্কর, চাদখালী ও গড়ইখালী ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানের বেড়িবাঁধ ঝুকিপূর্ণ থাকায় চরম আতঙ্কে ছিল এসব এলাকার মানুষ। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ মেরামত কাজ অব্যাহত রাখা হয় বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী মোতালেব হোসেন।
এদিন চাদখালীর হাচিমপুর, গড়ইখালীর শান্তা, খুদখালী ও আবাসন এলাকা পরিদর্শন করেন সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম শামীম। অপরদিকে লস্করের আলমতলা এলাকার ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোথাও কোন তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন। ১০৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা সহ ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় সবধরনের প্রস্তুতি ছিল বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস জানান।