খুলনার বটিয়াঘাটা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে অঞ্জু দাস যোগদানের পর থেকে দুর্নীতিমুক্ত হতে চলছে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস। অন্যদিকে ঐ সকল দুর্নীতি চক্র একজোট হয়ে রেস্ট্রি অফিসের সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসার অঞ্জু দাস ও অফিসের
বড় বাবু পেশকার ও দলিল লেখকদের নিয়ে সম্প্রতি একটি মহল তাদের নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে নেমেছে। এদেরকে নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন, ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে। দুঃখজনক ঘটনা হলো সত্য যে ওই সব সংবাদপত্রে যাদেরকে উদ্বৃত্ত ও বক্তব্য দিয়ে নিউজ করা হচ্ছে তারা সে সংবাদের বিষয়ে আদৌ কিছুই জানেননা। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে কিছু কতিপয় স্বার্থন্বেষী লোক রেজিস্ট্রি অফিসে আসে বিভিন্ন ভুয়া কাবজাব ও ভিপি কাগজপত্র নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করতে। কিন্তু ঐ সকল কাগজপত্র যখন যাচাই-বাছায়ের সময় ধরা পড়ে, তখন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসার তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দলিল লেখক সমিতি কর্তৃপক্ষদের নির্দেশ দেয়। তখনই বাদে এ সকল বিপত্তি। কিছু দালাল চক্রের সীমাহীন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়রানি বটিয়াঘাটা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস পাড়া।
বটিয়াঘাটা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্টার অঞ্জু দাস যোগদানের পর থেকে ওই সকল দালালদের বিরুদ্ধে স্বচ্ছর হয়ে ওঠলে অফিসের কিছু দুর্নীতিবাজ লোকজনদের মুখোশ উন্মোচন হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি রেস্ট্রি অফিসে এসে তীব্র নিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। উপজেলা যুবদল নেতা আবুবকর সিদ্দিক (নীরু) লিখিত বক্তব্যে বলেন,গত ২৪,২৫ ও ২৬ আগস্ট ২০২৫ ইং দৈনিক ফলাফল, দৈনিক হালচাল, Dknews24.net সহ বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা সহ বিভিন্ন প্রেস ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে বটিয়াঘাটা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের চলছে ডিজিটাল স্টইলে ঘুস, দুর্নীতি ও অনিয়ম। দেখার কেও নেই" সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে । যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন । উক্ত সংবাদে বটিয়াঘাটা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস , দলিল লেখক সমিতির কিছু নেতা, পেশকার ও আমাকে নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা আদৌও সত্য নয়। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, বটিয়াঘাটায় নবাগত সাব রেজিস্টার অঞ্জু দাস যোগদান করার পরে বিভিন্ন রকমের অনৈতিক সুবিধা থেকে এক শ্রেণীর দালাল চক্র বঞ্চিত হচ্ছে। তারই জের ধরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস টাকে কলুষিত করার জন্য একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের ব্যক্তি স্বার্থ ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করার কারণেই সাব-রেজিষ্ট্রার অঞ্জু দাস ও অফিসের বড় বাবু দলিল লেখকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকার কথা লিখে আমাদেরকে হয়রানি করছে। এসব ঘটনার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই । বটিয়াঘাটা সাব-রেজিষ্ট্রার অঞ্জু দাস বলেন, বটিয়াঘাটা সাব রেজিস্ট্রি অফিস সহ আমাকে ও আমার অফিস স্টাফদের নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সত্য নয়। উক্ত সংবাদে আমার বক্তব্যের কথা বলা হয়েছে সেটিও সত্য নয়। এ সংক্রান্ত কোনো বিষয় কোন সংবাদ কর্মী আমার সাথে কথা বলেন নি। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি আকর্ষণ এবং প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি বিনীত আহবান করছি।