আষাঢ় মাসের শুরুতে একটানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির কারণে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষ বিপাকে পড়েছে। বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে এবং সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
রোববার রাত থেকে আষাঢ়ের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বেলা বাড়ার পর বৃষ্টির তীব্রতা বেড়ে যায়। টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েন ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ। উপকূলের নিম্নাঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পানির নিচে তলিয়ে গেছে ফসলের খেত। নিম্ন আয়ের লোকজন কাজে যেতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। শ্রমজীবী মানুষ যারা দিন এনে দিন খায়। এমন নির্মাণ শ্রমিক, রিকশা-ভ্যানচালক, হোটেল সহকারী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সবার জীবিকা নির্ভর করে প্রতিদিনকার আয়-রোজগারের ওপর। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে থমকে গেছে তাদের জীবনের চাকা।
টানা বৃষ্টিতে কৃষিপণ্য পরিবহন ব্যাহত হওয়ায় বাজারে সবজির সরবরাহও কমেছে। এতে করে নিত্যপণ্যের দামে প্রভাব পড়তে পারে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, বৃষ্টিতে পাইকারি বাজার থেকে পণ্য আনতে সমস্যা হচ্ছে। চাহিদা বাড়লে দামও বাড়বে। পাইকগাছার বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের সিনিয়র সহকারি পরিচালক নাহিদুল ইসলাম বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে দেরিতে কাটা ধান শুকানোয় ব্যাহত হলে আশানুরুপ বীজ উৎপাদন হবে না। তাছাড়া আগাম তৈরি আমনের বীজ তলা পানিতে তলিয়ে ক্ষতি হয়েছে। নতুন করে বীজ তলা তৈরির কাজ চলছে।
পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ একরামুল হোসেন জানান, ক্ষেতে পাট ছাড়া তেমন কোন ফসল নেই। যে সকল ক্ষেতে সবজী মাটিতে রয়েছে তার কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া এ বৃষ্টিতে ফসলের তেমন কোন ক্ষতি হবে না।