নিউজ ডেস্ক
চলতি বছর বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৩.২ শতাংশ। আগামী বছরও এই প্রবৃদ্ধির হার একই থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)। বুধবার প্রকাশিত অর্থনৈতিক পূর্বাভাস রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গত মে মাসের পূর্বাভাসে তারা জানিয়েছিল যে ২০২৩ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে ৩.১ শতাংশ।
ওইসিডি আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি এ বছর ২.৬ শতাংশে পৌঁছাবে। তবে আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কমে ১.৬ শতাংশে নামবে। এর আগে, মে মাসে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল যে ২০২৫ সালে তাদের প্রবৃদ্ধি হবে ১.৮ শতাংশ। জি৭ জোটের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় স্থানে থাকবে যুক্তরাজ্য।
প্রথম পূর্বাভাসে যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধি ০.৪ শতাংশ হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, এ বছর যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধি বেড়ে ১.১ শতাংশ হবে এবং আগামী বছর তা ১.২ শতাংশে পৌঁছাবে। জাপান, ইতালি এবং জার্মানির মতো জি৭ এর অন্যান্য দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি যুক্তরাজ্যের তুলনায় কম থাকবে।
তবে মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য জি৭ জোটের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে থাকবে। এ বছর তাদের মূল্যস্ফীতির হার হবে ২.৭ শতাংশ। অন্যদিকে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর অর্থনীতি এ বছর ০.৭ শতাংশ হারে বাড়বে এবং ২০২৫ সালে তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পুনরায় গতি পাবে। আগামী বছর তাদের প্রবৃদ্ধি হবে ১.৩ শতাংশ।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের প্রবৃদ্ধি এ বছর ৪.৯ শতাংশ হবে এবং আগামী বছর তা কমে ৪.৫ শতাংশে দাঁড়াবে। চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এই পতনের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। সরকার অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে ব্যয় বাড়ালেও, ক্রেতাদের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় খরচের হার কমেছে। তাছাড়া, আবাসন খাতেও সংকট চলছে, যার ফলে আশানুরূপ হারে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে না।
ওইসিডি জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। খাবার, জ্বালানি এবং অন্যান্য পণ্যের দাম হ্রাস পাওয়ায় সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে, যার ফলে খরচের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ভূরাজনৈতিক সংঘাতের ফলে মানুষ নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন