জি,এম, আব্দুসছালাম
খুলনার ডুমুরিয়ায় নদী খননের মাটি চুরি করে ইট ভাটায় নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার তথ্য সংগ্রহকালে দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার ডুমুরিয়া সংবাদদাতাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়েছে অবৈধ ইটভাটা মালিক। গত বুধবার দুপুরের দিকেউপজেলার কুলবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিক এম রুহুল আমীন ডুমুরিয়া থানায় একটি সাধারন ডাইরি করেছেন। জিডিতে উল্লেখিত তথ্য ও ভূক্তভোগী সাংবাদিক সূত্রে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড ডুমুরিয়া উপজেলায় শালতা নদীর করে খননকৃত মাটি বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের কাজে ব্যবহারের জন্য রাখা হয়।
গত কয়কেদিন ধরে ভাড়া করা ট্রলিতে করে রঞ্জন সরদারের মালিকানাধীন ভাই ভাই ব্রিকস্ এ নদীর খনন করা মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এলাকাবাসীর এমন অভিযােগের প্রেক্ষিতে গত বুধবার সকাল সাড় ১১টার দিক দৈনিক দিনকাল ও লােকসমাজ’র ডুমুরিয়া সংবাদদাতা চুকনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রুহুল আমীন, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি গাজী আব্দুল কুদ্দুস এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৈনিক পূর্বাঞ্চল প্রতিনিধি গৌতম রাহা সংবাদ সংগ্রহ করতে ঘটনাস্হলে যান। এ সময় তারা সেখানে ৫টি ট্রলি দেখতে পান।ট্রলি চালক যশােরের মনিরামপুর উপজেলার মশ্মিমনগর এলাকার মোঃ মনিরুজ্জামান ও কেশবপুরের বায়শা এলাকার মনিরুল ইসলাম জানান, ভাই ভাই ব্রিকস্ এর মালিক রঞ্জন সরদার তাদের নিয়ে এসেছেন মাটি কাটাতে। তখন কর্তব্যরত সাংবাদিকদের মধ্য রুহুল আমীন তান মোবাইল ফোনে রঞ্জন সরদারের ব্যবহৃত মাবাইল ফোনে (০১৯৭৩—৩৭০) এ কল করে মাটি কেটে নেয়ার ব্যপারে জানতে চান।
এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,অনুমতি থাক বা না থাক তাতে আপনার কি? এরপর রুহুল আমীনকে কােন কথা বলার সুযােগ না দিয়ে মােবাইল ফােনটি আরেক জনের কাছে দিয়ে দেন। ওই ব্যক্তি নিজেকে বিউটি ব্রিকস্ এর মালিক স্বপন সরদার পরিচয় দিয়ে রুহুল আমীনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, সংবাদ প্রকাশ করবা তাে? ওসব আমরা থােরাই কেয়ার করি। তোমরা তােমাদের ক্ষমতায় যা পারো তাই কর। কাগজে আগে সংবাদ আসুক তারপর সংবাদ লেখার সাধ মিটিয়ে দিবো। এরপর রুহুল আমীনকে আর কােন কথা বলার সুযােগ না দিয়ে স্বপন সরদার ফােন কলটি কেটে দেন। এ ব্যাপার রুহুল আমীন বুধবার দুপুরে ডুমুরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন । মাটি কাটার অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমীন বলেন, সরকারী মাটি কেটে নেয়ার অনুমতি কাউকে দেয়া হয়নি। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আগামীকাল থেকে কঠাের ব্যবস্হা নেয়া হবে বলেও তিনি জানা
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে অভিজায শুরু করা হয়েছে বলে জানা গেছে । অভিযানের প্রথম দিনে উপজেলার ৩ টি ইট ভাটায় অভিযান চালিয়ে ৭ লক্ষাধিক টাকা জরিমানাআদাায় করেছেন সহকারি কমিশনার( ভূমি) মোঃ আসাদুর রহমান।