বিশেষ প্রতিনিধি
খুলনার ডুমুরিয়ায় উপজেলা পরিষদের ইমারত ব্যবস্থাপনা নির্মাণ অনুমোদন প্রকল্পের ১২ লাখ টাকা উপজেলা চেয়ারম্যান ও সিএ-২ প্রশাসক রাজস্বফান্ডে জমা না দিয়ে ভাগাভাগি করে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানাজানির পর উপজেলা প্রশাসন অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন । তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলায় ইমারত নির্মাণ অনুমোদনের জন্য শত শত লোক উপজেলা পরিষদের দ্বারহস্ত হয়ে থাকেন। অনুরূপভাবে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে কয়েকশ’ ইমারত নির্মাণ অনুমোদনের আবেদন পড়ে উপজেলা পরিষদে। আবেদন দাখিলের পর ওই আবেদনকারিরা প্রাথমিকভাবে দ্বারহস্ত হন অফিসের সিএ-২ প্রশাসক মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে। এরপর তিনি নথিগুলো দেখে নানান অজুহাত তুলে ভূলত্রুটি ধরে অনুমোদন অসম্ভব বলে বেঁকিয়ে বসেন। তারপর শুরু হয় দেন দরবারের পালা। সুত্র জানান মাসের পর মাস হাঁটাহাঁটির পর ও আবেদন টাকা ছাড়া নড়ে না। নীতিমালা অনুযায়ী অনুমোদনকৃত ইমারত স্থাপনের প্রতি স্কয়ার ফুটে এক টাকা হারে উপজেলা পরিষদের কৃষি ব্যাংক একাউন্ট তহবিলে জমা দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ওই একাউন্টে ১২ লক্ষাধিক টাকা জমা হয় বলে ব সূত্রে জানা যায়। তবে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ জমাকৃত টাকা রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে তার একান্ত আস্থাভাজন সিএ-২ প্রশাসক মুস্তাফিজের সহায়তায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গোপনে ব্যাংক একাউন্ট থেকে ১২ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।যা নিয়ম বহির্ভূত।
আনীত বিভিন্ন অভিযোগ ও ১২ লক্ষ টাকা ভাগাভাগির বিষয়ে জানতে চাইলে সিএ-২ প্রশাসক মুস্তাফিজ ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশে ফারুক ময়নার নিকট ঘুষের টাকা চাওয়া হয়েছিল, এছাড়া কৃষি ব্যাংক একাউন্ট থেকে ১২ লক্ষ টাকা উত্তোলনও করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের (০১৯২০৩৬৩৬৫৩ নম্বর) মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোনটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। ঘটনা প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল আমিন বলেন, প্রাথমিকভাবে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।