
নিউজ ডেস্ক
রাজধানীর শেওড়াপাড়া এলাকায় দুই খালাকে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় গোলাম রব্বানী খান ওরফে তাজ (১৪) কে গ্রেপ্তার এবং মামলার বিস্তারিত আলামত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি-মিরপুর বিভাগ উদ্ধার করেছে। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ভাড়া বাসায় সংগঠিত ওই নৃশংস ঘটনার পর পুলিশ এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল তৎপর রিপোর্ট ও আলামত সংগ্রহ করেছে।
ঘটনাস্থলে উদ্ধার হওয়া লেহেমাকাপ্দ্র রক্তমাখা ছুরি, দু’জোড়া ব্লুউড জিন্স, নীল রঙের টি-শার্ট, ও হ্যান্ড গ্লাভস বিশ্লেষণে নিশ্চিত করেছে, সব আলামত মৃতকালের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। ডিবি-মিরপুর বিভাগের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম আজ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তাজ গ্রেফতার পর্যন্ত পুলিশি গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ, সিসি ক্যামেরা ফুটেজ চিত্রায়ন, মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্রেস ও প্রতিবেশী সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম চালিয়েছে।
জবানবন্দিতে তাজ স্বীকার করেছেন, তিনি ৯ মে দুপুরে বড়খালা মরিয়ম বেগমের বাসায় বেড়াতে এসে প্রথমে মানিব্যাগ থেকে টাকা চুরি করতে গিয়েছিলেন। ধরা পড়ার পর লেবু কাটার ছুরি দিয়ে প্রথমে খালাকে, পরে সহায়ক চেষ্টাকারী সেজোখালাকেও আঘাত করেন। হত্যাকাণ্ডের পর রক্তমাখা পোশাক পাল্টে ফেলেন এবং বাড়ির দরজা লক করে সিএনজি যোগে পালিয়ে যান। গ্রেফতারকালে তার হাতে-চুলায় শুকিয়ে যাওয়া রক্তের দাগ, পোশাকের ছোপ এবং দূরবর্তী এলাকার ধুলো-ময়লা মিশ্রিত লোম-লেচ্ছা উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “শেওড়াপাড়ার মতো শান্ত এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ভাবাও যায় না। এত অল্প বয়সে কেউ এ কাণ্ড ঘটাতে পারে, তা বিশ্বাস করতে পারছি না।” নিহত মরিয়ম ও সুফিয়া বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বিচারপ্রক্রিয়ায় পূর্ণ ব্যবস্থা চান এবং দ্রুত ফল জানিয়ে ভিকটিমদের নামে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চান।
শেষ আপডেট (১৪ মে, ২০২৫):
-
তাজকে ঢাকার দ্রুততর ট্রাইব্যুনালে আজ পৌছানো হয়েছে; আদালত তাকে আগামী ২০ মে পর্যন্ত রিমান্ডে রাখার আদেশ দিয়েছে।
-
ডিবি-মিরপুর বিভাগ আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে; সন্দেহ করা হচ্ছে পরিকল্পনায় অন্যরাও জড়িত থাকতে পারে।
-
ফরেনসিক ল্যাবে হস্তক্ষেপ সম্পন্ন; ছুরির রিপ্লিকা ও রক্তের ল্যাব রিপোর্ট আদালতে দাখিল হবে।