পাইকগাছা ( খুলনা ) প্রতিনিধি
সুন্দরবনের দুবলার চরে ৩দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব ৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৫ নভেম্বর শেষ হবে। পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীরা উৎসবে অংশ নিতে রওনা দিয়েছে। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী পূণ্যস্নান ও পূজা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিগত বছরের মতো এবারও বনবিভাগসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়েছেন নানা পদক্ষেপ।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রাচীন সমুদ্র রাস উৎসব সুন্দরবনের সাগরদুহিতা দুবলারচরে অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষ্যে রাস উৎসবে পুর্ণিমা তিথিতে চরে নির্মিত মন্দিরে নামযজ্ঞ, রাধাকৃষ্ণ, কমল কামিনি ও বনবিবির পূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছর কার্তিক বা অগ্রহায়ন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জোয়ারের লোনা পানিতে স্নানে পাপ মোচন হয়ে মনের বাসনা পূর্ণ হবে এমন আশা নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা এ মেলায় যোগ দেয়। এ ছাড়া কেউ আসে সস্তান কামনায়, কেউ আসেন রোগ মুক্তির কামনায়। ৫ নভেম্বর পূর্ণিমার জোয়ারের লোনা পানিতে পূণ্য স্নানের মধ্য দিয়ে এ পূজার সমাপ্তি হবে।
পূজা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন ও দর্শনার্থীদের চলাচলে নিরাপত্তার জন্য বনবিভাগ পূর্বের ৫টি রুট বহাল রেখেছেন। রুটগুলো হলো ঢাংমারী ও চাঁদপাই স্টেশন তিনকোনা আইল্যান্ড হয়ে দুবলারচর আলোরকোল, বগী-বলেশ্বর সুপতি স্টেশন নকচিখালী শেলারচর হয়ে দুবলারচর আলোরকোল, বুড়ি গোয়ালিনী ও কোবাদক বাটুলা নদী বল নদী-পাটকোস্টা খাল হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলার চর আলোরকোল, কয়রা কাশিয়াবাদ খাসিটানা বজবজা হয়ে আড়ুয়া শিবসা-শিবসা নদী মরজাত নদী হয়ে দুবলারচর আলোরকোল, নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা মরজাত হয়ে দুবলারচর আলোরকোল।সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও তীর্থ যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের নির্ধারিত রুটগুলোতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর র্যাব,কোষ্টগার্ড, পুলিশ, বনকর্মীরা নিয়োজিত রয়েছে।