জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের জবাবদিহিতা (ডিপিএইচ) না থাকায় অনিয়ম ও দুর্নীতির শিকার হচ্ছেন পাইকগাছা উপজেলার উপকারভোগীরা। বিগত দিনে সরকারি বরাদ্দকৃত পানির ট্যাংকি নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও সংশ্লিষ্টদের হয়নি কোন শাস্তি। উল্টো বিগত দিনের দুর্নীতির প্রমান ঢাকতে নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পাইকগাছা উপজেলার উপ সহকারী প্রকৌশলী। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। এ যেনো একে অপরকে বাঁচানোর চেষ্টা। একাধিক সূত্র জানিয়েছে,অফিস সহকারী অরুন ঢালীর দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা করছেন উপজেলার উপ সহকারী প্রকৌশলী প্রশান্ত পাল। বিগত দিনে অরুন ঢালী বিভিন্নভাবে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। বিগত দিনে ঠিকাদার এবং খুলনা জেলার সাবেক একজন প্রকৌশলী মিলে প্রায় ৫০-৬০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
৩ হাজার লিটারের একটা ট্যাংকি পেতে যেখানে সরকারি খরচ ১ হাজার ৫'শ টাকা সেখানে অধিকাংশ উপকার ভোগীকে গুনতে হয়েছে মোটা অংকের টাকা। প্রতিটি ট্যাংকি বাবদ ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে অরুন ঢালীকে। আবার অনেক উপকার ভোগী টাকা দিয়েও ট্যাংকি পাইনি বলেও অভিযোগ রয়েছে। অরুণ ঢালী পৌর সদরের শিববাটী মৌজায় ৩৫ লক্ষ টাকার মূল্যের একটি জমি ক্রয়ও করেছেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্যমতে, প্রতিটি পানি সংরক্ষণ ইউনিট স্থাপনে খরচ ধরা হয়েছে ৪২ হাজার টাকা। এর মধ্যে ট্যাংকি, প্রয়োজনীয় পাইপ, ট্যাপ, পাকা পাটাতন নির্মাণ থেকে শুরু করে সব ধরনের পরিবহন এবং শ্রমিক খরচ সবই আছে।
কিন্তু রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং ইউনিটের জন্য ১ হাজার ৫ শত টাকা সহায়ক চাঁদার বাইরে ট্যাংকের পেছনে আর কোনো খরচ হওয়ার কথা না থাকলেও গুনতে হয়েছে বাড়তি টাকা। অভিযোগ সূত্র বলছে, সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার এবং উপ সহকারী প্রকৌশলী প্রশান্ত পাল অনিয়ম দুর্নীতি ঢাকার জন্য রাতের আধারেও অনেক ধরনের দেন দরবার করছেন। এমনকি বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে এনেও প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে অরুন ঢালীকে একাধিক বার কল করে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি পাইকগাছা উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী প্রশান্ত পাল অপ্রাসঙ্গিক উত্তর দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।