
মোঃ মনিরুজ্জামান চৌধুরী
নড়াইল-১ (কালিয়া–নড়াগাতী–নড়াইল সদর আংশিক) আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। টানা এক সপ্তাহের গণসংযোগে ধানের শীষের প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক অঙ্গীকার হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন— “ধানের শীষ বিজয়ী হলে নড়াগাতীকে স্বাধীন উপজেলা ঘোষণা করা হবে।”এই ঘোষণার পর থেকেই নড়াগাতী থানা এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন-অবহেলায় পিছিয়ে থাকা এ অঞ্চলের মানুষ বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের প্রতিশ্রুতিকে দীর্ঘ দিনের স্বপ্নপূরণের সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন।
২৩ থেকে ৩০ নভেম্বর’২৫ পর্যন্ত সপ্তাহব্যপী জয়নগর, মাউলী, খাশিয়াল, পহরডাঙ্গা, বাঐশোনা, কলাবাড়িয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকে অংশ নেন তিনি। প্রতিটি স্থানে ছোট-বড় হাজারো মানুষের ঢল নামে; তরুণ ভোটারদের উচ্ছ্বাস, নারী-পুরুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এলাকা জুড়ে নির্বাচনী উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়।জনসভায় বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম বলেন—“নড়াগাতী অঞ্চল বহু বছর ধরে অবহেলিত। রাস্তাঘাট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, কর্মসংস্থান—কোনো ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় উন্নয়ন হয়নি। আমি নড়াগাতীর সন্তান, তাই এ অঞ্চলের উন্নয়নই আমার প্রথম দায়িত্ব। বিজয়ী হলে উপজেলাকরণসহ নড়াগাতীর সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।”
তার এই প্রতিশ্রুতিতে স্থানীয়দের বহু বছরের দাবি আবারও জোরদার হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, “উপজেলাকরণই এখন নড়াগাতীর সবচেয়ে বড় ইস্যু”—যা ভোটারদের মধ্যে ধানের শীষের প্রতি ব্যাপক প্রত্যাশা সৃষ্টি করেছে।গণসংযোগের প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশ নেন স্থানীয় নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী মানুষ ও বিভিন্ন বয়সী ভোটাররা। সমাবেশগুলোর শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই প্রকাশ পাচ্ছে নড়াইল-১ আসনে ভোটযুদ্ধের উত্তাপ। আর তারই কেন্দ্রে এখন বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম ও নড়াগাতীকে উপজেলা ঘোষণা করার তার অঙ্গীকার।















