ডেস্ক নিউজ
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগকে ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার। দাবি করা হয়েছে, ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পরও সংগঠনটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে কথা বলেন পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম সংবাদমাধ্যমকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের’ প্রচারে ভূমিকা না রাখতে সতর্ক করেন।
সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ছাত্র-জনতার হত্যা, অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, “নিষিদ্ধ করার মূল উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করা। তবে পট পরিবর্তনের পরেও তাদের আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি। নিখোঁজ, পলাতক বা প্রকাশ্য অবস্থায়ও তারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।”
আরও কোনো সংগঠন নিষিদ্ধ হবে কি না—এ প্রশ্নে রিজওয়ানা বলেন, “নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রলীগের ভূমিকা সন্ত্রাসী ছিল। ক্ষমতাসীনদের ভাষায়, আন্দোলন দমনে ছাত্রলীগই যথেষ্ট ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ের গণহত্যার পরও তারা থামেনি। আদালতে তাদের বেশ কয়েকবার দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্য কোনো সংগঠন নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আলোচনা হয়নি।”
পুলিশের ওপর হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পুলিশ বাহিনীর মনোবল ফেরাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অনেক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে, তবে কিছু ক্ষেত্রে নির্লিপ্ততা আছে। দোষীদের ছাড়া কাউকে শাস্তি দেওয়া হবে না।