সর্বশেষ:

chakri hoyni madrasa sohkari gronhagar mizanur rahman er

অপেক্ষা যখন উপেক্ষিত এক যুগ অপেক্ষার অবসান, চাকরি হলো না পাইকগাছা আলিম মাদ্রাসার সহকারী গ্রন্থাগার মিজানুর রহমানের

chakri hoyni madrasa sohkari gronhagar mizanur rahman er
Facebook
Twitter
LinkedIn

এস,এম,আলাউদ্দিন সোহাগ,পাইকগাছা ( খুলনা)

এক যুগ অপেক্ষা করেও চাকরি হলো না পাইকগাছা আলিম মাদ্রাসার সহকারী গ্রন্থাগার / ক্যাটালগার মিজানুর রহমানের। সরকারের বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং নিজের চেষ্টার কিছুটা গাফিলতি ও ঘাটতি থাকার কারণে চাকরি না হওয়ার অন্যতম কারণ মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মাদরাসা কতৃপক্ষ।

২৬ আগস্ট মঙ্গলবার গ্রন্থাগারের পরিবর্তিত সৃষ্ট ওই পদে এনটিআরসি চুড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্ত একজন সহকারী শিক্ষক যোগদান করায় মিজানুর রহমানের চাকরি হওয়ার আর কোন সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। এদিকে দীর্ঘ এক যুগ অপেক্ষা করে ও চাকরি না হওয়ায় মিজানুর রহমানের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানের অনেকেই। প্রতীক্ষার এমন অবসান ব্যথিত করেছে সবাই কে। উল্লেখ্য পাইকগাছা আলিম মাদ্রাসা উপজেলা সদরের একমাত্র মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০১২ সালে সরকারি সব বিধি অনুসরণ করে অত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া হয় সহকারী গ্রন্থাগার / ক্যাটালগার পদে। নিয়োগ পান মিজানুর রহমান নামে আবেদনকারী এক প্রার্থী। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস নিয়োগ পাওয়ার পরপরই বেতন ভাতা পাওয়ার আগেই সরকার সহকারী গ্রন্থাগার /ক্যাটালগারের ওই পদটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এর ফলে মিজানুর রহমানের নিয়োগ বাতিল হয়ে যায়। বেতন ভাতা না থাকায় মিজানুর মাঝে মধ্যে মাদরাসায় আসা যাওয়া করতে থাকে। ২০১৮ সালে সরকার ওই পদ সহ অনেক গুলো নতুন করে পুনরায় সৃষ্ট করে। পদ সৃষ্টির ফলে ওই পদে যারা নিয়োগ পেয়েছিল তাদের মধ্যে অনেকেই চাকরি ফিরে পাওয়া সহ বেতন ভাতা কার্যকর করতে উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন করে।

chakri hoyni madrasa sohkari gronhagar mizanur rahman er

মহামান্য হাইকোর্ট রিটকারী ৫২ জনের অনুকূলে আদেশ দেয়। যদিও এ তালিকায় ছিল না মিজানুর রহমান। ওই ৫২ জন বেতন ভাতা পাওয়ার পর মিজানুর মাদ্রাসা অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে। মাদরাসা অধ্যক্ষ কয়রার দুইজন সহ মিজানুর রহমানের জন্য মন্ত্রণালয়ে চেষ্টা করেন। অনেকটা এগিয়ে নেওয়ার পর মাদরাসা অধ্যক্ষ মিজানুর কে মন্ত্রণালয়ের চেষ্টার অগ্রগতি কে এগিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। পরবর্তীতে কয়রার দুইজনের বেতন ভাতা হলে যথাযথ চেষ্টা না করার কারণে মিজানুর রহমান পিছিয়ে পড়ে এমনটাই মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ শুন্য পদ হিসেবে পরিবর্তিত লাইব্রেরি এন্ড ইনফর সেশন সাইন্স ( সহকারী শিক্ষক) হিসেবে এনটিআরসি’র চুড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে ওই পদে যোগদান করেছেন সুরাইয়া আক্তার নামে একজন। এ পদে একজনের যোগদানের পর মিজানুর রহমানের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানের বিষয় টি ব্যাতীত করেছে সবাই কে। এ প্রসঙ্গে মাদরাসা অধ্যক্ষ আজহার আলী বলেন সহকারী গ্রন্থাগার /ক্যাটালগার পদটি পরিবর্তিত শুন্য পদে সহকারী শিক্ষক হিসেবে এনটিআরসি সুপারিশ প্রাপ্ত একজন যোগদান করেছেন। সরকারি বিধি অনুযায়ী তার যোগদান আটকানোর কোন সুযোগ নাই। তবে মিজানুর রহমানের জন্য আমরা প্রতিষ্ঠানের সবাই ব্যতীত এবং মর্মাহত।

নিয়োগ পাওয়ার প্রথম দিকে মিজানুরের মাদরাসায় কমবেশি আসা যাওয়া থাকলেও ২০২৩ সালের পর থেকে মাদরাসার সাথে তার কোন সংযোগ নেই। তার বেতন ভাতা এমপিও’র জন্য ২০২২ সালের ১ মে, ৩ এপ্রিল ও ১ মার্চ আবেদন করা হলেও কোন কাজ হয়নি বলে তিনি জানান। এদিকে দীর্ঘ প্রতীক্ষা, পরিবার পরিজন এবং সর্বোপরি মানবিক দিক বিবেচনা করে সরকার মিজানুর রহমানের প্রতি সদয় সহানুভূতি দেখাবেন এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana