
শেখ শামিম হোসেন, বটিয়াঘাটাঃ
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের ভগবতীপুর এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩১ নম্বর পোল্ডারে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়ীবাধঁটির অবস্থা খুবই আশংকাজনক। গত বর্ষা মৌসুম থেকে মাঙ্গা নদীতে তুলনামূলক ভাবে পানি বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওয়াপদা রাস্তাটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোন মুহুর্তে ভেঙে যেতে পারে সেচ্ছাশ্রমে করা নতুন বাঁধটি। ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। অত্র অঞ্চলের একমাত্র ভরসা এই বাধটি ভেঙ্গে গেলে প্রায় ১০/১২টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হবে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা। অতি দ্রুত টেকসই ভেড়িবাধের দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয় কৃষক আবু তাহের মিন্টু বলেন, এই রাস্তাটি নদী গর্ভে চলে গেলে আমাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় এসে থাকতে হবে।
কাকড়া ব্যাবসায়ী মোঃ হুমাউন বলেন, এই রাস্তাটি সংস্কার হচ্ছে আবার ভেঙ্গে যাচ্ছে। আমরা রাতে আতংকিত অবস্থায় থাকি। রাস্তাটি ভেঙ্গে গেলে আমাদের ভিক্ষা করে খেতে হবে।
ইজিবাইক চালক বাবু বলেন, আমরা এখান থেকে বিভিন্ন কাচামাল নিয়ে শহরে যাই। রাস্তাটি আমাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। রাস্তাটি ভেঙে গেলে আমাদের চলাচলের খুব সমস্যা হবে।
ইউপি সদস্য সুজিত রায় বলেন, গত বছর বুনারাবাদ-ভগবতীপুর গ্রামের প্রায় ২৩টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। স্থানীয়দের সেচ্ছাশ্রম ও পাওবির সহযোগিতায় নতুন রাস্তটি তৈরি হয়েছিল কিন্তু সেটাও আজ ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।
সুরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস কে জাকির হোসেন লিটু বলেন, ভগবতীপুর, বুনারাবাদ এলাকার নদী ভাঙ্গনের অবস্থা এতোটাই খারাপ যে, যেকোন মুহুর্তে রাস্তাটি নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। সড়কটি ভেঙে গেলে পানিতে প্লাবিত হয়ে নষ্ট হয়ে যাবে হাজার হাজার একর জমির ফসল ও বিভিন্ন ঘেরের মাছ। ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নিলে হয়তো খুলনার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে এই এলাকাটি।
বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে যথাযত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, এই নদী ভাঙ্গনের ব্যাপারে আমরা অবগত হয়েছি। অতি সত্বর ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।















