পাইকগাছা ( খুলনা) প্রতিনিধি
যৌথ ঘের ব্যবসায়ের শেয়ারের পাওনা টাকা ও মৎস্য ঘের উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পাইকগাছার বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী ও সবুজ মৎস্য খামারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মাসফিয়ার রহমান সবুজ। তিনি সোমবার দুপুরে পৌর সদরস্থ নিজ ব্যবসায়ীক কার্যালয়ে দেলুটি ইউনিয়নের দিঘলীয়া গ্রামের মৃত নিরোদ বিহারির সরদারের ছেলে জবরদখলকারী শিবপদ সরদার ও সত্যরঞ্জন সরদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় ব্যবসায়ী সবুজের সহধর্মিণী সাবরিনা রহমান উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায়ী সবুজ লিখিত বক্তব্যে বলেন লতা ইউনিয়নের লতা পুতলাখালী মৌজার ৭০০ বিঘার চিংড়ি ঘের নিয়ে সন্ত্রাসী শিবপদ ও সত্যরঞ্জনের সাথে বিরোধ চলে আসছে। আমার প্রয়াত পিতা জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সফল মৎস্য ব্যবসায়ী আলহাজ্ব ফসিয়ার রহমান জমির মালিকদের নিকট থেকে রেজিস্ট্রিকৃত ডিডমূলে ৮০'র দশক থেকে মৎস্য লীজ ঘেরটি পরিচালনা করে আসছিল। পিতার মৃত্যুর পর আমি ঘের পরিচালনার দায়িত্ব নেই। পিতার ডিডের মেয়াদ শেষ হলে জমির মালিকরা ২৫-০২-২০১৮ হতে ৩১-১২-২০৪ পর্যন্ত আমাকে ১২২৪ নং লীজ এগ্রিমেন্ট দলিল রেজিষ্ট্রি করে দেয়। পরবর্তীতে আমার অর্থের বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় শিবপদ সরদারের সাথে শর্ত সাপেক্ষে ২৫-০১-২০২৩ হতে ৩১-১২-২০২৪ পর্যন্ত দুই বছরের জন্য অর্ধেক শেয়ারে যৌথভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য রেজিষ্ট্রি ডিড সম্পাদন করি। যৌথ ব্যবসা শুরু করার পর শিবপদ ঘেরের দায়িত্বে না থেকে তার ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী একাধিক অস্ত্র মামলার আসামি মৃণাল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড সত্যরঞ্জন কে দায়িত্ব দেয়। তারা দুই ভাই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু ও রশীদুজ্জামানের ছত্রছায়ায় থেকে সন্ত্রাসী বাহিনীর আস্তানা গড়ে তোলে।
১ বছর পরে ব্যবসার হিসাব চাইলে সত্যরঞ্জন ঘেরের বাসায় ডেকে নিয়ে অস্ত্রের মুখে আমার কাছ থেকে ৩০০ টাকার নন জুডিসিয়াল ৩ টি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। পরবর্তীতে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে নিষেধ করে ।
এ পর্যন্ত আমি ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের হিসাব অনুযায়ী শিবপদ সত্যরঞ্জন এর নিকট লভ্যাংশ বাবদ ২০ লাখ টাকা পাইবো। ব্যবসায়ী সবুজ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শেয়ারের ২০ লাখ টাকা, স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্প এবং মৎস্য ঘের উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।