বিশেষ প্রতিনিধি :
বটিয়াঘাটা মঠের খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপারে চলছে অতিরিক্ত টোল আদায়। বটিয়াঘাটা উপজেলা সদরে ফুলতলা মঠের খেয়াঘাটে ইজারাদারের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ।
মঠের খেয়াঘাট দিয়ে বালিয়াডাঙ্গা, ভান্ডারকোট,ও আমিরপুর ইউনিয়নের অধিকাংশই জনগন উক্ত ঘাট দিয়ে পারাপার হয়ে থাকে। এছাড়া খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলার বেশির ভাগ লোকজন যাতায়াত করে থাকে। বটিয়াঘাটা, গঙ্গারামপুর, সুরখালী সহ খুলনা জেলা শহর থেকে প্রতিদিন শত শত চাকরীজীবী নদী পার হয়ে বিরাট,ঝালবাড়ী, বুজবুনিয়া,ভান্ডারকোট ও বিভিন্ন এলাকায় স্কুল, কলেজ, ব্যাংক, হসপিটাল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হলো উক্ত খেয়াঘাট টি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ যাত্রী পারাপারের জন্য দুটি নৌকা থাকার কথা। কিন্তু সেখানে রয়েছে একটি নৌকা। যার ফলে সময়ের পাশাপাশি চরম দূভোগ পোয়াতে হচ্ছে যাত্রীদের। কখনো কখনো খেয়াঘাটে খেনৌকার
কিন্তু পারাপারের মাধ্যম মাত্র একটি নৌকা থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।একটা খেয়া মিস করলে ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা বসে থাকতে হয়।এদিকে ঘাটের টোল জনপ্রতি ৫ টাকা ধার্য থাকলেও প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ টাকা নেওয়া হয়। প্রতিটি মটর সাইকেল ১০ টাকা ধার্য থাকলেও নেয়া হয় সর্বনিম্ন ৬০ থেকে ১০০ টাকা। এ ব্যাপাদধদদদ০ আদাইকারী মিন্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনপ্রতি ১০ টাকা ও মোটর সাইকেল প্রতি ৬০ টাকা নিয়ে থাকি। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রশাসনের নাকের ডগায় জনবহুল ঘাটে মাত্র একটি নৌকা দিয়ে ইজারাদার ঘাট চালিয়ে যাচ্ছে। খেয়া মাঝিদের কাছে নৌকা বাড়ানোর কথা জানতে চাইলে তারা বলেন, নৌকায় কাজ করাচ্ছি। এদিকে সন্ধা ৭ টার পর উক্ত খেয়া ঘাটের নৌকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে উপজেলার অধিকাংশ খেয়াঘাটের এমনই অবস্থা।