সর্বশেষ:

basher sako jeno protidiner mrittujhuki

পাইকগাছায় বাঁশের সাঁকো যেন প্রতিদিনের মৃত্যুঝুঁকি

basher sako jeno protidiner mrittujhuki
Facebook
Twitter
LinkedIn

এস,এম,আলাউদ্দিন সোহাগ,পাইকগাছা (খুলনা)

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার লতা ও দেলুটী ইউনিয়নের সংযোগস্থলে অবস্থিত লতা-দেলুটী খেয়াঘাট প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কৃষক, রোগী ও দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই ঘাট ব্যবহার করে। পূর্ব পাড়ে পাকা ঘাট থাকলেও পশ্চিম পাড়ে এখনো রয়েছে একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো, যা বর্ষায় হয়ে ওঠে বিপজ্জনক মৃত্যুফাঁদে।

ঘাটের মাঝি দিলিপ কুমার জানান, এক বছর আগেও সাঁকোটির অস্তিত্ব ছিল না। কাদার মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হতো, যা বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল কষ্টকর। তিনি জানান, দয়ার বশে নিজ খরচে বাঁশের সাঁকো তৈরি করলেও এখনো পর্যন্ত এর সংস্কারে কোনো সরকারি পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। একটু অসাবধানতাই হতে পারে বড় দুর্ঘটনার কারণ।

বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী তৃষ্ণা মণ্ডল বলেন, প্রতিদিন স্কুলে যেতে ভয় লাগে। অনেকবার কাদা-পানিতে পড়ে বই-খাতা ও পোশাক নষ্ট হয়েছে। এখানে একটি স্থায়ী ঘাট খুব জরুরি।

স্থানীয় গৃহিণী যমুনা সরকার বলেন,সকালে ছেলে-মেয়েরা যখন স্কুলে যায়, তখন খুব দুশ্চিন্তা হয়। পানির কলস নিয়ে সাঁকো পার হওয়াও খুব ঝুঁকিপূর্ণ। বাধ্য হয়ে হাঁটু কাদায় চলাচল করতে হয়।

একই অভিযোগ কৃষক সৌমেন দাশের। তিনি বলেন, হাটে মালামাল নিতে গেলে বাঁশের সাঁকো পার হওয়া যায় না। পণ্য মাথায় তুলে কাদার মধ্য দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।

দেলুটী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুকুমার কবিরাজ জানান, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে। তিনি জানান, দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাকাঘাট নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, অনুমোদন মিললেই কাজ শুরু হবে। পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, ঘাটের দুরবস্থা সম্পর্কে আমি জানা মাত্রই জনসাধারনের দুর্ভোগ লাঘবে স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana