বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় কাটাখালী হাইওয়ে মোড়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ২৭ টন সুপারি ডাকাতির অভিযোগে ফকিরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় নামীয় ৫ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ফকিরহাট মডেল থানার মামলা নং-১৩, তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২৫, দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ধারা ৩৯৫/৩৯৭/৩৪ অনুযায়ী এ মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযোগকারী ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক (৩৭), পিতা মুজিবর মল্লিক, গ্রাম-যুচ্চেরডাঙ্গী, সাতক্ষীরা সদর; ব্যবসায়িক ঠিকানা পুরান পল্টন, ঢাকা।
১. মো. মোস্তাকিম বিল্লাহ (৩৬), গ্রাম আট্টাকী, ফকিরহাট, বাগেরহাট
২. মামুন হোসেন (৩৯), গ্রাম করেরগাঁও, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা
৩. মো. আল আমিন ভুইয়া (৩৭), মিরপুর, শাহআলী থানা, ঢাকা
৪. মো. আ. কাদের (৪২), মিরপুর, শাহআলী থানা, ঢাকা
৫. মোস্তাফিজুর রহমান (৪২), করেরগাঁও, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা
৬. অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৭ আগস্ট ২০২৫ রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে বৈধভাবে ছাড়া হওয়া ২৭ টন সুপারি দুটি ট্রাকে (খুলনা মেট্রো-ট-১১-০২৫৪ ও খুলনা মেট্রো-ট-১১-২৩৩৭) খুলনার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ট্রাক দুটি কাটাখালী এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ট্রাক আটকায়, চালক ও সহকারীদের জিম্মি করে এবং প্রায় ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকার সুপারি ডাকাতি করে ফকিরহাট গোডাউন মোড়ের একটি গুদামে নিয়ে যায়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, থানাকে বিষয়টি অবহিত করার পরও অভিযুক্তরা পুলিশি নির্দেশ অমান্য করে কাস্টমস সিল ভেঙে ট্রাক থেকে মালামাল আনলোড শুরু করে।
অভিযোগপত্রটি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-০২, বাগেরহাটে উপস্থাপন করা হলে, আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন। পরে ২৫ আগস্ট ফকিরহাট মডেল থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা রুজু হয়।
মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) মো. আব্দুর রাজ্জাক। ইতোমধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার ও ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধারের জন্য হইচই বিজ্ঞপ্তি ও এক্সপ্রেস লেটার জারি করা হয়েছে।
অভিযোগকারী আবু বকর সিদ্দিক জানান,
“আমি বৈধভাবে আমদানি করা পণ্যের মালিক। ডাকাতির ঘটনায় আমার প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি আশা করি পুলিশ দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে ডাকাতি হওয়া সুপারি উদ্ধার করবে।”
এ ব্যাপারে ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর বলেন, অভিযোগ তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।