
পাইকগাছা ( খুলনা) প্রতিনিধি
পাইকগাছা-তালা উপজেলা সীমান্তের খননকৃত কপোতাক্ষ নদ রক্ষা বাঁধের বনায়নের গাছ ও মাটি কাঁটার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাছ ও মাটি কাঁটা বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে।প্রাপ্ত অভিযোগ ও সরেজমিন গিয়ে জানাজায় ,দু’ উপজেলা সীমান্তের কাঠিপাড়াস্থ কপোতাক্ষ নদের উপর নির্মানাধীন শালিখা ব্রীজের পাইলের পাশে পাউবো’র বেড়িবাঁধের নীচে রফিকুল ইসলাম শিকারী নামে এক ব্যক্তি পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।স্থানীয়দের অভিযোগ, সে খননকৃত কপোতাক্ষ নদের পোল্ডার রক্ষা বাঁধের উপর বনায়নের নিমগাছ ও মাটি কেটে ফসলের ক্ষেত তৈরি করছেন।
এটা চলতে থাকলে বাঁধ যেমন ঝুকিতে পড়বে, তেমনি পরিবেশেরও ক্ষতি হবে এমন আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।এ প্রসঙ্গে ঘের মালিক তালার মুড়াগছার বাসিন্দা মিনার আলী মীর জানান, ইতোপুর্বে রফিক শিকারী কপোতাক্ষ নদ সংলগ্ন কাঠিপাড়া মৌজায় রেকডীয় ১০ কাঠা জমি ক্রয় করে বসবাস করতেন। এরই মধ্যে কপোতাক্ষ নদ খননের মাটি তার রেকডীয় জমির উপর স্তুপ করায় বড় বাঁধে পরিনত হয়।
আমার অনুমতিতে রফিক সেই বাঁধে ফসল ফলাতে মাটি সমান করেন। তবে সে একটি নিমগাছ কর্তন করে ভুল করেছেন। অনুমতি দিতে পারেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রফিকসহ ২০ জমি মালিকের কাছ থেকে চুক্তির বিনিময়ে বনায়ন করেছি। এটা আমাদের রেকডীয় জমি বলে তিনি দাবি করেন।তবে, রফিক শিকারী দম্পতি বলেন,ডালপালা ছাটাসহ একটি নিমগাছ কেটে ভুল করেছি স্বীকার করে বাঁধ নষ্ট হবে এমন কাজ থেকে বিরত থাকবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা বনকর্মকর্তা প্রবীর কুমার দত্ত বলেন,মোবাইলে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে বনায়নের গাছসহ বাঁধের মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। বাঁধের বনায়ন নিয়ে দু’পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন মালিকনা নির্ধারন এবং জমির অবস্থান নির্ণয় করা গেলে সকল সমস্যা এবং বিরোধের অবসান হবে বলে মনে করছি।