
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার ৩ নং গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসলাম হালদারের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন জাতীয় যুবশক্তি (এনসিপি) কেন্দ্রিয় সংগঠক সৈয়দ আবু ওয়াহিদ। মামলা নং-২৯ তারিখ ২৫অক্টোবর ২০২৫। এই মামলার কারনে ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম হালদার কে ঘিরে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনিতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও পতিত আওয়ামী সরকারের সময়ে তিনি আওয়ামীপন্থী বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি অভিভাবক হিসেবে ঘোষনা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সোহেলকে। সম্প্রতি বিএনপির বিভিন্ন মিছিল মিটিং ও বিভিন্ন সমাবেশের সামনের সারিতে দেখা যাচ্ছে এই রুপ বদলানো চেয়ারম্যান আসলাম হালদারকে।
খুলনা সোনাডাঙ্গা এলাকার সৈয়দ আব্দুস সালাম এর পুত্র সৈয়দ আবু ওয়াহিদ এর দায়ের করা মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলো নগরীর পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার মোঃ মিন্টু এর পুত্র আরিফুল ইসলাম ইমন ওরফে টম (২৫), বিকে মেইন রোড এলাকার মৃত মকবুল শেখের পুত্র আব্দুস সালাম ওরফে ডাবলু (২১), দিঘলিয়া এলাকার গণি গাজীর পুত্র ফজলুর রহমান গাজী (৪৫) সহ অজ্ঞাত আরো অনেকে। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টায় চেয়ারম্যান আসলামসহ অন্যান্য আসামীরা খুলনা মহানগরীর শান্তিধাম মোডে স্থানীয় আওয়ামিলীগের সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে এনসিপি নেতা সৈয়দ আবু ওয়াহিদ এবং তার সহ-কর্মীদের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। যুবশক্তি (এনসিপি) কেন্দ্রিয় সংগঠক সৈয়দ আবু ওয়াহিদ জানান আসামীরা কয়েকদিন যাবত অবৈধ মেলা পরিচালনা করার কারনে আমি সহ আমার অন্যান্য নেতা কর্মীরা তাদেরকে মেলা করতে নিষেধ করি। এর জন্য তারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিতে থাকে। শনিবার শান্তিধাম মোড়ে তাদের সাথে দেখা হলে চেয়ারম্যান আসলাম সহ অন্যান্য আসামীরা হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর অতর্কিত ভাবে স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে হামলা করে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় যুব শক্তি খুলনা জেলা কমিটি।
ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম হালদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, শাহজান আহমেদ বলেন, এই মামলার ১ ও ২নং আসামী টম ও ডাবলু কে আটক করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।















