সর্বশেষ:

addin haspataler obebosthapona

আদ-দ্বীন হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও সেবার নামে মানুষের জীবন নিয়ে বাণিজ্য

addin haspataler obebosthapona
Facebook
Twitter
LinkedIn

গত ১৫ সেপ্টেম্বর, সোমবার আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার কারণে একটি শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ঘটনাস্থলে সরজমিনে গিয়ে হাসপাতালের ভয়াবহ অব্যবস্থাপনা ও সেবার নামে সাধারণ মানুষের হয়রানির চিত্র স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে।

গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংবাদ আপলোড হওয়ার পর শত শত মানুষ তাদের সাথে ঘটে যাওয়া অভিজ্ঞতা জানায় -“হাসপাতাল সেবার নামে জীবন নিয়ে ভয়াবহ ব্যবসা করছে”

গণমাধ্যমের ভিডিও লিংক – https://www.facebook.com/share/v/1GXsGCtJus/
( ভিডিওর কমেন্টগুলো পড়বেন)

প্রশাসন, গণমাধ্যম ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ম্যানেজারের উপস্থিতিতে কিছু গুরুতর বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

১. যে শিশুর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসা শিশুটির মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট করতে হবে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ অদক্ষ ডাক্তার নার্স এর মাধ্যমে অক্সিজেনের ভুল প্রয়োগে শিশুটির মৃত্যু ঘটেছে।
২. শিশু মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। বিগত কয়েক মাসে অন্তত ৩-৪টি একই ধরনের মৃত্যু ঘটেছে, সর্বশেষ নবজাতককে ক্যানোলা দেওয়ার সময় মৃত্যু—যা কর্তৃপক্ষের চরম অদক্ষতার পরিচয়।
৩. হাসপাতালে রাত ১২:৩০ পর্যন্ত উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে ‘র‍্যাগ ডে’ উদযাপন—অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়। যেখানে নিচে শত শত অসুস্থ মানুষ মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে, স্বজনরা প্রিয়জন হারানোর শোকে ভেঙে পড়ছে।
৪. নাইট শিফটে হাসপাতালে ইনচার্জ(এডমিন) হিসেবে একজন মহিলা প্যাথলজিস্টকে দায়িত্ব দেওয়া—চরম অব্যবস্থাপনা।
৫. অপারেশনের পর টেস্ট এর রিপোর্ট আসে এমন একটা প্রমান পাওয়া গিয়েছে—তাহলে অপ্রয়োজনীয় টেস্ট দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি কেন?
৬. স্টাফদের অসদাচরণ নিত্যনৈমিত্তিক। অভিযোগ করলেও ৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনের কাউকেই পাওয়া যায়নি। টাকা দিয়ে মানুষ কি শুধু হয়রানিই কিনবে?
৭. হাসপাতালে পানি জমে থাকে, যেখানে রোগী ও স্বজন সহজেই পিছলে পড়ে যেতে পারে। এমনকি একজন সাংবাদিক ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
৮. জুতা চুরির ঘটনা নিয়মিত ঘটে—কোনও প্রতিকার নেই।
৯. হাইজিন মেইনটেইনের জন্য রোগী-স্বজনদের জুতা খুলে প্রবেশ করতে হয়, অথচ হাসপাতালের স্টাফ ও শিক্ষার্থীরা জুতা পরে নির্বিঘ্নে ঢুকে যায়।
১০. ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ নিয়েও গুরুতর অভিযোগ আছে। গভর্নিং বডির আলোচনার ভিত্তিতে এসবের সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত সমাধান অপরিহার্য।

আমাদের দাবি:

গুগলে শুধু “আদ-দ্বীন হাসপাতাল” লিখে সার্চ করলেই একের পর এক অব্যবস্থাপনা ও ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর মিছিল চোখে পড়ে—বিশেষ করে নবজাতক শিশুদের ক্ষেত্রে।

আমরা গতপরশু এই বিষয়গুলো হসপিটাল কর্তৃপক্ষের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছি। কিন্তু এখনো প্রশাসন, গণমাধ্যম, ভুক্তভোগী পরিবার কিংবা সাধারণ জনগণ—কেউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখতে বা জানতে পারেনি।

আপনারা যদি ভেবে থাকেন বছরের পর বছর সেবার নামে মানুষকে হয়রানি করে তালবাহানায় বিষয়গুলো ধামাচাপা দেওয়া যাবে, তবে সেটা বড় ভুল ভাবনা।

-অবিলম্বে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিন।
-না হলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana