বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধি :
বটিয়াঘাটায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো আমন ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধান ক্ষেতে ডাল পুতে পার্চিং উৎসব। দেশে ভয়াবহ বন্যায় খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রোপা আমন ধানের সর্বোচ্চ ফলন উৎপাদনের লক্ষ্যে বটিয়াঘাটায় চলছে রোপা আমন ধানের জমিতে গাছের ডাল বা বাঁশের কৃঞ্চি পুঁতা উৎসব। বটিয়াঘাটা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলার বটিয়াঘাটা সদর ইউনিয়ন, গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন, সুরখালী ইউনিয়ন, বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন, আমিরপুর ইউনিয়ন ভান্ডার কোর্ট ইউনিয়ন ও জলমা ইউনিয়নে এই পাচিং বা ধান ক্ষেতে ডাল পোতার উৎসব চলছে। তবে ঢাকঢোল পিটিয়ে জলমা ইউনিয়নের দরগাতলা তড়িখালী ও হরিণটানা গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষক কৃষাণী দেরকে উদ্বুদ্ধ করে এ কার্যক্রম চলছে।
এতে করে কৃষকদের কীটনাশকের ব্যবহার কমে আসছে। কৃষক মোঃ কহিনুর রহমান বলেন, বর্তমানে যে পরিমান বৃষ্টিপাত হচ্ছে তাতে পোকা মাকড়ের আক্রমণ বাড়বে। কৃষি অফিসের পরামর্শে ধান ক্ষেতে বিভন্ন পাখি বসার জন্য গাছের ডাল পুঁতে দিচ্ছি। আগে যেখানে এক বিঘা জমিতে কীটনাশকে খরচ হতো দুই তিন হাজার টাকা, সেখানে গাছের ডাল পুঁতলে খরচ নেই বললেই চলে। কৃষক মোঃ খোরশেদ শেখ বলেন, আমাদের এলাকায় দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ – সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জীবানন্দ স্যারের পরামর্শে প্রতি মৌসুমে ধান ক্ষেতে পাখি বসার জন্য গাছের ডাল পুঁতে দেই।
যে কারনে ধানে পোকামাকড় কম লাগে। সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপ – সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জীবানন্দ রায় বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতি বৃষ্টি, অনাবৃষ্টি লেগেই আছে এর মধ্যে আবার বন্যা, ফলে রোপা আমন ধানের সর্বোচ্চ ফলন নিশ্চিত করতে ও কৃষক কৃষাণী দের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে কৃষক কৃষাণী দেরকে উদ্বুদ্ধ করে ধান ক্ষেতে পাখি বসার জন্য গাছের ডাল বা বাঁশের কুঞ্চি পুঁততে সহযোগিতা করছি। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, দেশে ভয়াবহ বন্যায় খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের এই কার্যক্রম বটিয়াঘাটা উপজেলার প্রতিটি ধান ক্ষেতে ডাল পুঁতে পাচিং উৎসব চলমান রয়েছে।