শাহিদুল ইসলাম কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি
খুলনার কয়রা উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রতিবন্ধীসহ ৫ জন আহত হয়েছে শনিবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার
আমাদী গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন আমাদী গ্রামের শাহাদাত হোসেন, মোঃ রায়হান,রাকিব, তাজকিরা ও শেখ মোঃ আলী। এ মর্মে কয়রা থানায় এজাহারের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন একই গ্রামের শাহাদাত সরদারের পুত্র মোঃ রায়হান অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১.আঃ গনি সরদার (৫৫) পিতা মৃত ইউসুফ সরদার, ২.আলমগীর সরদার (৩৫), ৩. আকরাম সরদার (৩০)৪. আরিফ (৩২) সর্ব পিতা আঃ গনি সরদার, ৫. কামাল সরদার (৪০) পিতা মৃত বাবর আলী সরদার, ৬. নিলুফা খাতুন (২৭) জং আকরাম সরদার, ৭.ফাতেমা খাতুন (৩২) জং আলমগীর সরদার, ৮. আলেয়া খাতুন (৪৫) জং আঃ গনি সরদার ৯। সানজিদা খাতুন (৩৮) জং জিয়ারুল খা ১০। শামীমা খাতুন জং আরিফ সরদার সর্ব সাং আমাদী থানা কয়রা জেলা খুলনা।
উক্ত লোকের কাছ থেকে আমার পিতার খরিদা ও পৈত্রিক ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি নিয়া দীর্ঘদিন বিরোধ চলিয়া আসিতে থাকা অবস্থায় অদ্য ইং ০৬/০৪/২০২৪ তারিখ সকাল অ ৮ টায় বেআইনী জনতায় দলবদ্দ হইয়া আমাদের বাড়ীর মধ্যে দেশীয় অস্ত্র ধারালো দা, লোহার রড, শাবল, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি অস্ত্রসস্ত্র নিয়া আমার বাড়ীর মধ্যে আসিয়া আমার পিতা শাহাদত ও আমার মা তাসকিরা বেগমকে অকথ্য ভাষা গালি গালাজ করিতে থাকে এবং আমার পিতা ও মাতা তাদের অশ্লীল ভাষার প্রতিবাদ করা মাত্রই গনি সরদারের হুকুম দিয়া বলে যে, শালাদেরকে জীবনে শেষ করে দে, বলার সাথে সাথে ২ আলমগীর , ৩আকরাম ও ৪ আরিফ তাদের হাতে থাকা লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও শাবল দিয়া আমার পিতা শাহাদাত সরদারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করিয়া মারাত্বক কাটা ফাটা রক্তাক্ত জখম করে।
এসময় আমার মাতা তাসকিরা বেগম আসামীগনের হাত হইতে আমার পিতাকে বাঁচানোর জন্য গেলে ১নং গনির হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমার মাতার শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্বজোরে একাধীক আঘাত করিয়া কালশীরা রক্তাক্ত জখম করে ও ১ গনি আমার মায়ের পরিহিত স্যালোয়ার কামিজ টানিয়া ছিড়িয়া বিবস্ত্র করিয়া শ্লীলতাহানী ঘটায় ও আমার মাতার শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধীক কামড় দিয়া রক্তাক্ত জখম করে স্থানীয়রা তাদের কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসার ভর্তি আছেন।
এ বিষয়ে গনি গং দের কাছে মারামারির কারণ জানতে চাইলে তারা অস্বীকার করেন।
কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।