খুলনা শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে রোগিদের বিপুল পমিাণ চিকিৎসা সরাঞ্জামাদি পাচারের সময়ে হাতে নাতে সুমন সার্জারি নামের একজন চোর আটক হযেছে। এসব চিকিৎসা সরাঞ্জামাদির মধ্যে রয়েছে পলিশি ক্যাথাটার,ইউরিন ব্যাগ,ক্যাথাটাল.ব্লাড সেট,স্যালাইন, হ্যান্ড গ্লোভস, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকার মত। আটককৃত সুমন সার্জারি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি একজন ওষুধ ব্যাবসায়ি আমার খুলনা হেরাজ মার্কেটে দোকান আছে।
তবে দীর্ঘদিন যাবৎ আবুনাসের হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের নার্স ইনচার্য তহমিনা খাতুন,ও কার্ডিওলজি বিভাগের নার্স ইনচার্য সোনিয়া খাতুন আমার কাছে এই রোগীদের জন্য বরাদ্ধ চিকিৎসা সরাঞ্জামাদি বিক্রি করত।আমি নিজেই এসে স্কুলের ব্যাগে করে ওষুধ ও চিকিৎসা সরাঞ্জামাদি নিয়ে আসতাম।এ বিষয়ে আউট সোর্সিং কর্মচারী মোসাম্মাদ নুরজাহান বলেন, আমি প্রায় সময়ে দেখতাম যে এই লোকটি নার্স ইনচার্যের সাথে দেখা করে।আর দুটি তিনটি স্কুল ব্যাগ ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা সরাঞ্জাদি নিয়ে যায়।
তবে আমি নার্স ইনচার্য’র ভয়ে কিছু বলতে পারিনি।আজ সকাল সারে দশটায় সময়ে আবার এই লোকটিরেক দেখতে পেয়ে আমি নজরদারি করতেদ শুরু করি। লোকটি যখন ব্যাকে করে নিয়ে চলে যাচ্ছে আমি তাকে আটকানোর চেষ্ট করলে পিছন থেকে নার্স তহমিনা আমার মুখ চেপে ধরে বলে কোন চিৎকার করবিনা। এই বলে আমার সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে।
এক পর্যায়ে আিিম তার কাছ থেকে দৌড়ে নিচে অপেক্ষা থাকা এ্যাম্বুলেন্স চালক টিপুকে ঘটনার সম্পর্কে অবগত তরলে তিনি দৌড়ে যেয়ে এই চোরকে চিকিৎসা সরাঞ্জামাদি সহ হাতে নাতে আটক করে। বিষয়টি নিয়ে নার্স সুপার ভাইজার শিলা রাণী বলেন, আমরা এর আগেও এই ঘটনার সম্পর্কে কিছুটা আচ করতে পেরেছিলাম। এখানে নার্স ইনচার্য দায়িত্ব থাকা নার্সরা বিভিন্ন সময়ে রোগীর চিকিৎসা সরাঞ্জামাদি,ওষুধ পাচার করছে। তবে হাতে নাতে আটক করা যাচ্ছিলনা।
আজ আউট সোর্সিং কর্মচটারী দেখতে পেয়ে তার চিৎকারে চোর আটক হযেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নার্স ইনচার্য তহমিনা খাতুন ও সোনিয়া খাতুন এর বক্তব্য বলেন, আমরা এই ঘটনার সম্পর্কে কিছু জানিনা। আমাদের ফাসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।একটি মহল দীর্ঘদিন যাব্ৎ আমাদের পিছনে কুৎসা রটনা করে আসছে।
এ বিষয়ে আবু নাসের হাসপাতালের মেট্রোন পারভিন আক্তার বলেন,আমি বিষয়টি সম্পর্কে শুনেছি আমাদের দুই জন নার্স ইনচার্য এর সহায়তা রোগীদের চিকিৎসা সরাঞ্জামাদি পাচার করাররসময়ে চিকিৎসা সরাঞ্জামাদি সহ একজন আটক হয়েছে।আমরা তদন্ত করছি আইনগত ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে শহীদ শেখ আবুনাসের হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ শেখ আবু শাহীন বলেন, রোগীদের চিকিৎসা সরাঞ্জাদি পাচার করার সময়ে হাতেনাতে একজনকে আটক করা হয়েছে।আটকৃত ব্যাক্তি জানিয়েছে যে দুইজন নার্স ইনচার্য জড়িত। আমরা ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এছাড়া আটকৃত চোরকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।তদন্ত শেষ হলে জড়িত অপরাধিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থ নিব।