সর্বশেষ:

ময়লার ভাগাড়

পাইকগাছা পৌর বাজার যেন ময়লার ভাগাড়: কর্তৃপক্ষ নীরব

ময়লার ভাগাড়
Facebook
Twitter
LinkedIn

এস,এম,আলাউদ্দিন সোহাগ,পাইকগাছা (খুলনা)

পাইকগাছা পৌরসভার নির্দিষ্ট কোন ময়লা আবর্জনার ডাস্টবিন না থাকায় যতত্র ময়লা ফেলায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পৌর বাজারে চলাচলকারী মানুষ ও ব্যাবসায়ীরা। বাজার সংলগ্ন নদীর পাড় যেন ময়লা আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে। বিষাক্ত দুর্গন্ধের কবলে ব্যবসায়ীরা সহ সর্বস্তরের জনগণ। দক্ষিণে হাওয়া আসলেই নাকে কাপড় দিয়ে পথ চলতে হয় জন সাধারনের।

অপরদিকে পৌর সদরের প্রানকেন্দ্রে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিত্যাক্ত ভবনও ডাস্টবিনে পরিনত হয়েছে। পৌর বাজারে মদিনা মার্কেটের পাশে স্বাস্থ্যবিভাগের একটি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। তার পাশেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটি পরিত্যাক্ত ভবন রয়েছে। বর্তমানে ভবনটি ডাস্টবিন হিসাবে ব্যাবহার করছে এলাকাবাসী। পরিত্যাক্ত ওই ভবনের পাশে পৌরসভা একটি ডাস্টবিন তৈরি করেছে। যেখানে সব সময় ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে।যার কারনে রমযান মাসে দূষিত বাতাস আর দূর্গন্ধময় পরিবেশে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পৌর সদরে চলাচলকারী জনগন ও এলাকাবাসী। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা দেখেও না দেখার ভান করছে

পৌর কর্তৃপক্ষ। পরিবেশ দুষিত হলেও কর্তৃপক্ষের নেই কোন মাথা ব্যাথা। মনে হচ্ছে, পাইকগাছা পৌরসভা ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ১ফেব্রুয়ারি খুলনা জেলার একমাত্র পৌরসভা পাইকগাছা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে ধীরে ধীরে দ্বিতীয় শ্রেণী ও পরবর্তীতে প্রথম শ্রেণীতে স্থান করে নিলেও অবকাঠামো কোন উন্নয়ন হয়নি পৌরসভার জনগণের। তারই ধারাবাহিকতায় পাইকগাছা পৌরসভার হাট বাজারের দক্ষিণ পার্শের শিবসা নদীর পাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। এর কোল ঘেষে রয়েছে চা পট্টি, কাঁচা বাজার, মুদি ব্যবসায়ীরা, মাছ বাজার, মাংস বাজার সহ পাইকগাছার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো।

ময়লার ভাগাড়

পাশেই রয়েছে ক্লিনিক,পাইকগাছা থানা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দুঃখের বিষয় পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে বাজার সংলগ্ন স্থানে ফেলে বাজারকে দুষিত করে ফেলছে। গরু-ছাগল-এর মল-মুত্র, হাঁস-মুরগীর আবর্জনা, মানুষের মল-মুত্র সহ বিভিন্ন আবর্জনা ভ্যান অথবা ট্রাকে করে বাজার সংলগ্ন স্থানে ফেলে আবর্জনার স্তুপে পরিণত করেছে। ময়লা আবর্জনার কারণে মশার উপদ্রব বেড়েছে। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষের কোন দিকে নজর নেই।

আবার বাজারের ব্যবসায়ীদের খুলনা থেকে ট্রলারযোগে আমদানী করা সকল মালামাল উক্ত স্থান নিয়ে ওঠা-নামা করে। যে সমস্ত মালামাল ট্রলার থেকে নামিয়ে ময়লা আবর্জনার উপর রাখতে দেখা যায়। সামান্য বৃষ্টি হলে ও মাঝে মধ্যো পৌর সভার শহর রক্ষা বাঁধ উপচে ময়লা-আবর্জনা ধুয়ে দুষিত গন্ধ পানি বাজারের দোকানপাট ও রাস্তায় প্লাবিত হয়।

সে সময় ব্যবসায়ীরা সহ বাজারে আসা সর্বত্র জনগণ রাস্তায় বের হতে পারে না। আবার দখিণা বাতাস এলে বিষক্ত দুর্গন্ধে সাধারণ জনগণ মুখে কাপড় দিয়েও গন্ধ রোধ করতে পারে না। ফলে বিভিন্ন ধরণের রোগ ছড়িয়ে পড়ে। পৌর কর্তৃপক্ষ অদ্যাবধি পর্যন্ত ময়লা আবর্জনা ফেলার কোন নির্দিষ্ট স্থান তৈরী না করায় অপরিকল্পিতভাবে পৌর সদরকে দুষিত করে ফেলা হচ্ছে। এছাড়া মনে করা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা ফেলে শিবসা নদী ভরাট করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

আবার ময়লনা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোন স্থান না থাকায় বাজারের ব্যাবসায়ীদের বিভিন্ন পচা দ্রব্যাদি এখানেই ফেলছে। পৌর সদর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত পরিচ্ছন্নকর্মীরা খামখেয়ালীভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে চলেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা নেই। কেউ খেয়াল করছেন না পৌরসভা ও সাধারণ মানুষের কথা। বাজারের অনেক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে যে খরিদ্দার আসে তারা নাকে রুমাল অথবা কাপড় বেঁধে এখানে আসে। আমরা তো ব্যবসার স্বার্থে দুর্গন্ধ সহ্য করে নিয়েছি।

প্যানেল মেয়র মাহাবুবুর রহমান রঞ্জু বলেন, পৌর সভার নিজস্ব কোন জায়গা নেই। ময়লা ফেলার ডাম্পিং এর জন্য জায়গা দেখা হচ্ছে। জায়গার ব্যাবস্থা হয়ে গেলে পৌর বাজারের পাশে আর ময়লা ফেলা হবে না। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি জায়গার ব্যাবস্থা হয়ে যাবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana