সর্বশেষ:

বরইতলা-মোজামনগর খেয়া পারাপার

বরইতলা-মোজামনগর আন্তঃজেলা খেয়া পারাপারে চরম দুর্ভোগ; দ্রুত সংস্কারের দাবী

বরইতলা-মোজামনগর খেয়া পারাপার
Facebook
Twitter
LinkedIn

এস,এম,আলাউদ্দিন সোহাগ, পাইকগাছা, ( খুলনা )

জেলার পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলার সীমান্তবর্তী বরইতলা-মোজামনগর আন্তঃজেলা খেয়া পারাপারে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। জোয়ারের সময় কোন ভাবেই পার হতে পারলেও ভাটার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় পারাপাররত যাত্রীদের। প্রতিবছর সরকার এ ঘাট থেকে অর্ধ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় করে থাকেন। দ্রুত সংস্কার করার মাধ্যমে দুই পারের দুই ঘাট দুটি পারাপারের উপযোগী করার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, আন্তঃজেলা খেয়াঘাটের মধ্যে উপজেলার সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ খেয়াঘাট হচ্ছে বরইতলা-মোজামনগর খেয়াঘাট। এই ঘাটটি দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলার মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করেছে। বিশাল শিবসা নদীর পশ্চিম পাশে রয়েছে পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের বরইতলা খেয়াঘাট।

অপরদিকে পূর্বপাশে রয়েছে দাকোপ উপজেলার মোজামনগর খেয়াঘাট। মোজামনগর খেয়াঘাটের কিছুটা আরসিসি এবং কিছুটা বাঁশের চার রয়েছে। এদিকে বরইতলা অংশের সম্পূর্ণ ঘাটটি বাঁশের চার দিয়ে তৈরী। শিবসার প্রবল স্রোতে প্রতিবছর বাঁশের চার থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ভাটার সময় বাঁশের চার থেকে নৌকা অনেক নীচে থাকায় ওঠানামা করতে চরম ভোগান্তি হয় সাধারণ মানুষকে। চরম ঝুঁকি নিয়ে মটর সাইকেল সহ অন্যান্য যানবাহন পার করতে হয়।

এমনকি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় নারী সহ শিশুদের। পারাপাররত যাত্রী চিত্তরঞ্জন মন্ডল বলেন, জোয়ারের সময় খুববেশি সমস্যা না হলেও ভাটার সময় পার হতে গেলে বুক ধড়ফড় করে।

সেলিনা বেগম বলেন, একবার পার হলে আর মনে হয় না এ ঘাট পার হবো। এমন ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় বাড়িতে গিয়ে খেয়াঘাটের কথা মনে হলে শরীর শিউরে ওঠে। ইজারাদার ইসমাইল সানা জানান, ঘাটটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার আবেদন করেছি। কিন্তু সংস্কারের কোন উদ্যোগ নাই। মাঝি সাইফুল্লাহ বলেন, প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে শত শত মানুষ পার হয়। পার হওয়ার সময় তাদের চরম দুর্ভোগ পেতে হয়। আমরা চাই দ্রুত দুটি ঘাট সংস্কার করা হয়।

সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী জানান, এ ঘাটটি আন্তঃজেলা হওয়ায় জেলা প্রশাসন থেকে এটি ইজারা দেওয়া হয়। সরকার এখান থেকে প্রতিবছর অর্ধ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করে থাকে। অথচ এ ঘাটের উন্নয়নে কোন বরাদ্দ নাই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় এ জনপ্রতিনিধি জানান। এ ব্যাপারে দু’একদিনের মধ্যেই খেয়াঘাটের উন্নয়ন কাজ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন। দুটি ঘাট দ্রুত সংস্কার ও উন্নয়ন করে ভালো ভাবে পারাপারের উপযোগী করা হোক প্রশাসনের কাছে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana