পাইকগাছায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রচণ্ড তাণ্ডবে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের আমন ধানের ক্ষেতে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর এই ঝড়ের আঘাতে খামারের প্রায় ৫০ একর জমির ধান ক্ষেত পুরোপুরি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
খামারের সূত্র মতে, এই মৌসুমে মোট ৬০ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ব্রিধান ৩০, ব্রিধান ৭৩, ব্রিধান ৭৮ এবং বি আর ২৩ জাতের ধান রয়েছে। এই ঝড়ের ফলে পাকা ধান ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়েছে, যা বীজ উৎপাদনের ল
ূলের এই অঞ্চলে প্রায়ই প্রাকৃতিক দূর্যোগের মুখে পড়তে হয়, যা কৃষি উৎপাদনে বড় ধরনের বাধা হিসেবে দেখা দেয়। এই ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে আমন ধানের ফসল ছাড়াও অন্যান্য ফসল ও বীজ উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কৃষকরা সরকারি সাহায্য ও ক্ষতিপূরণের আশায় বসে আছেন। তারা জানান, এই ধরনের দূর্যোগের ক্ষতি থেকে উত্তরণে সরকারি সহায়তা অত্যন্ত জরুরি। কৃষকরা আরও জানান, এই ধরনের দূর্যোগের পর পুনর্বাসন ও ফসল উৎপাদনে পুনরায় বিনিয়োগ করা তাদের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ।
এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ এই ক্ষতির বিষয়ে সচেতন এবং তারা কৃষকদের সাহায্যের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। কৃষি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিদর্শন করে কৃষকদের সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। তারা কৃষকদের বীজ, সার এবং অন্যান্য কৃষি সামগ্রী সরবরাহের ব্যবস্থা করছেন এবং ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য সমীক্ষা চালাচ্ছেন।
এই ঘটনা পাইকগাছার কৃষি ও বীজ উৎপাদনের জন্য এক বড় ধরনের আঘাত হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই ক্ষতির প্রভাব শুধু এই মৌসুমের জন্য নয়, আগামী মৌসুমের বীজ উৎপাদনেও প্রভাব ফেলবে। তাই কৃষক সমাজ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই দূর্যোগের পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথাযথ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির দিকে নজর দিচ্ছে।