ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতের মধ্যে আল শিফা হাসপাতালের উপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ঘেরাও ও আক্রমণের ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ও নিন্দার ঝড় তুলেছে। এই হাসপাতাল গাজার সবচেয়ে বড় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।
হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া জানান, ইসরায়েলি স্নাইপাররা হাসপাতালের কম্পাউন্ডে চলাচলরত যে কাউকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতি হাসপাতালের কর্মী ও রোগীদের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ ও ঝুঁকিপূর্ণ।
গত শুক্রবার আল শিফায় ইসরায়েলের চালানো হামলায় ১৩ জন নিহত এবং ডজনখানেক আহত হয়েছেন। এছাড়াও, গাজা সিটি ও উত্তর গাজার অন্যান্য হাসপাতালগুলোতেও ইসরায়েলের সরাসরি আঘাতের খবর পাওয়া গেছে। এই আক্রমণের ফলে আশপাশের এলাকাগুলোতেও ব্যাপক ক্ষতি ও মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
মুহাম্মদ আবু সালমিয়া আরও জানান, ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো আল শিফায় নির্বিচারে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এই আক্রমণে শিশু, নারী, বৃদ্ধ কেউই রেহাই পাচ্ছে না। বর্তমানে ৩৭টি শিশুসহ অনেক রোগী মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছেন। হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চিকিৎসা সেবা প্রদানে ব্যাপক বাধা দেখা দিয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সমাজের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘ ইসরায়েলের এই আক্রমণকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে নিন্দা জানিয়েছে। তারা অবিলম্বে এই আক্রমণ বন্ধ এবং মানবিক সংকটের সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতি গাজা উপত্যকার মানুষের জীবনে আরও বিপর্যয় এনেছে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘদিনের সংঘাতের এই নতুন পর্ব আরও মানবিক বিপর্যয় ও সংকটের সূচনা করেছে। বিশ্ব সমাজের দৃষ্টি এখন এই অঞ্চলের দিকে, যেখানে শান্তির প্রত্যাশা এখনও দূরের স্বপ্ন হয়ে আছে।