বিশেষ প্রতিনিধি:
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর থেকে গাড়িতে চেপে মানুষ প্রমত্ত পদ্মা পাড়ি দিয়ে আসছে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। এই সময়ে অনেক মানুষ এই সেতুর সুবিধা নিয়ে তাদের যাতায়াত সহজ করে নিয়েছেন। এবার এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে যোগাযোগের আরেক মাধ্যম, যাত্রীবাহী ট্রেন।
আজ বুধবার থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা পথে শুরু হচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। এই পথে প্রথমে চলবে দুটি ট্রেন, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস। এই দুটি ট্রেন যাত্রীদের জন্য আরও একটি সুবিধাজনক যাতায়াতের মাধ্যম হয়ে উঠবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবন এক্সপ্রেস আজ থেকে এবং বেনাপোল এক্সপ্রেস আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে চলাচল শুরু করবে। এই দুটি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশন দিয়ে যাত্রীদের নিয়ে যাবে এবং তাদের যাতায়াত সহজ করবে।
ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রেও যাত্রীদের সুবিধার জন্য বিবেচনা করা হয়েছে। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা স্টেশন পর্যন্ত ৭৭ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে মেইল ট্রেনে ৮০ টাকা, কমিউটার ১০০ টাকা, শোভন চেয়ার ২৩০ টাকা, এসি চেয়ার ৪৪৩ টাকা, এসি সিট ৫২৯ টাকা এবং এসি বার্থ ৭৯৪ টাকা।
রেলের মহাপরিচালক কামরুল আহসান বলেন, যাত্রীদের সুবিধার জন্য ভাড়া কমানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শুরুতে দুটি ট্রেন চললেও নভেম্বরের শেষ দিকে ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়বে।
ভবিষ্যতে এই পথে আরও বেশি সংখ্যক ট্রেন চলাচল করবে এবং যাত্রীদের জন্য আরও বেশি সুবিধা প্রদান করবে। এই নতুন যাতায়াতের মাধ্যমটি মানুষের জীবনকে আরও সহজ এবং আরামদায়ক করে তুলবে।
পদ্মা সেতুর মাধ্যমে এই নতুন যাতায়াতের সুবিধা পাওয়া গেলেও, এর প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতি এবং সামাজিক জীবনেও। এই সেতুর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অংশের মানুষ আরও সহজে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন, যা দেশের উন্নতির জন্য অপরিহার্য।
সব মিলিয়ে, পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা পথে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হওয়া একটি বড় ধাপ এবং এটি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে।