চা বিক্রেতার আড়ালে একটি ইয়াবা সিন্ডিকেট খুঁজে পেয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। কক্সবাজারের টেকনাফের সেই সিন্ডিকেটের সদস্যদের সহিত ৫টি মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে অধিদপ্তর।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ও ঢাকা বিভাগীয় প্রধান মো. মজিবুর রহমান পাটওয়ারী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) জোরালো কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গুলশান, রমনা, উত্তরা, ধানমন্ডি, তেজগাঁও সার্কেলের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিম বুধবার (১২ জুলাই) রাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক ৩টি অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ৪১ হাজার পিস ইয়াবা সহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নাম হল সাধন তনচংগ্যা, ফাতেমা, মোছা, মমিনা বেগম, মো. ইয়াকুব আলী ও মো. নাঈম। তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে বৃহস্পতিবার সকালে চৌকশ কর্মকর্তারা চা বিক্রেতার ছদ্মবেশে সেখানে অবস্থান নেয়। রাঙ্গামাটি হয়ে উত্তরবঙ্গের মাদক চোরাকারবারীর অন্যতম সদস্য সাধন তনচংগ্যাকে বিশেষভাবে তৈরি পকেটে ১১ হাজার পিস ইয়াবা সহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সে টেকনাফ থেকে যাবা সংগ্রহ করে প্রথমে রাঙ্গামাটিতে যায়, সেখান থেকে একটি পরিবহনযোগে গাবতলী এলাকায় অবস্থানরত উত্তরবঙ্গের ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীর কাছে সরবরাহ করে। ঢাকার প্রবেশমুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বেড়ে যাওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা ঢাকায় মাদক চোরাচালানের নতুন কৌশল অবলম্বন করে। টেকনাফের একটি মাদকচক্র প্রথমে চাঁদপুর জেলায় অবস্থান করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি ও চোখ ফাঁকি দিয়ে সেখান থেকে নৌপথে লঞ্চযোগে ঢাকায় মাদক চোরাচালান করছে। এমন একটি চক্রের ২ জন নারী সদস্য চাঁদপুর থেকে লঞ্চযোগে মাদকের একটি চালান নিয়ে সদরঘাট অঞ্চলে অবস্থান করবে। সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ফাতেমা ও মোছা. মমিনা বেগমকে ৪ হাজার পিস যাবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দুজনের বাড়ি টেকনাফে।
তিনি বলেন, তারা বাড়তি সতর্কতা হিসেবে লাগেজের ভেতরে বিশেষ কৌশলে চেম্বারে লুকিয়ে যাবার সময় ইয়াবা পরিবহন করে। তারা একই পদ্ধতিতে একাধিক যাবা চালান ঢাকায় নিয়ে এসেছে। রংপুরকেন্দ্রীক মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মাদক মামলার আসামি মো. ইয়াকুব আলী মিরপুরের কালশি এলাকা ও উত্তরবঙ্গের রংপুর অঞ্চলে ইয়াবা সরবরাহ করে।