বাংলাদেশে ট্রেন দুর্ঘটনা এক ভয়াবহ বাস্তবতা। দেশে সড়কপথে দুর্ঘটনার হার বেশি হওয়ায় অনেকেই নিরাপদ ভ্রমণের জন্য ট্রেনকে বেছে নেন। কিন্তু ট্রেন দুর্ঘটনাও কম নয়, এবং এগুলি প্রায়ই মারাত্মক হয়ে ওঠে। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেশের কিছু ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার দিকে এক নজর বুলিয়ে নেব।
সবচেয়ে সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আজ, ২৩ অক্টোবর, বিকেলে ভৈরবে। ভৈরব বাজার জংশনের আউটার সিগন্যালে এগারসিন্ধু নামের একটি যাত্রীবাহী ট্রেনকে ঢাকা থেকে আসা একটি কনটেইনারবাহী ট্রেন পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে এগারসিন্ধুর দুটি বগি পুরোপুরি দুমড়ে-মুচড়ে যায়, এবং এ পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকার্য চলছে, এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে যে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এই দুর্ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে ট্রেন যাত্রাও সবসময় নিরাপদ নয়। গত কয়েক বছরে দেশে একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে অনেক প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। এসব দুর্ঘটনার পেছনে নানা কারণ রয়েছে, যেমন অবকাঠামোর অবনতি, যান্ত্রিক ত্রুটি, মানবিক ভুল ইত্যাদি।
এই সব দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকার এবং রেলওয়ে বিভাগকে আরও সচেতন হতে হবে। নিরাপদ রেলযাত্রা নিশ্চিত করতে অবকাঠামো উন্নতি, যান্ত্রিক সরঞ্জামের নিয়মিত পরীক্ষা, এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। এছাড়াও, যাত্রীদেরও সচেতন হয়ে নিরাপদ ভ্রমণের জন্য সঠিক নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
আমাদের সবার জন্য এটা একটা জরুরি বার্তা যে, নিরাপদ ভ্রমণ শুধুমাত্র সরকার বা কোনো একক সংস্থার দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের সবার দায়িত্ব। আসুন, আমরা সবাই মিলে নিরাপদ ভ্রমণের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই এবং আমাদের দেশের রেলপথকে আরও নিরাপদ ও সুরক্ষিত করি।