তুরান হোসেন রানা খুলনা->>
দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল,ক্লিনিক,ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংকের সাইনবোর্ডে তাদের লাইসেন্স নম্বর যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অথচ তা মানছেনা বটিয়াঘাটা উপজেলার কোন স্বাস্থ্য ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক প্রতিষ্টান গুলো। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের নেই কোন বৈধ কাগজপত্র। অনুমোদনহীন এসব প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা না মেনে তারা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কর্মকাণ্ড।
সম্প্রতি রোগী সেবা নিশ্চিত এবং অনিয়ম বন্ধে এই নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর। নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে বার বার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমুহ) বেলাল হোসেনের স্বাক্ষরে পাঠানো এক আদেশে এসব কথা বলা হয়,দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল,ক্লিনিক,ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংকে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ সহ লাইসেন্স নম্বর সাইনবোর্ডে ঝুলিয়ে দিতে হবে। প্
রয়োজনে কিউআর কোডসহ সেটি ডিসপ্লে করতে হবে। তা না হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব নির্দেশনা থাকলেও মানছে না সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা তাদের ইচ্ছামতো স্থানীয় পেশিশক্তি,রাজনৈতিক শক্তি,অর্থনৈতিক শক্তি,সহ বিভিন্ন অপশক্তির মাধ্যমে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে প্রকাশ্য দিবালোকে এই অবৈধ রমরমা ক্লিনিক এর ব্যবসা।
উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের নেই কোন বৈধ কাগজপত্র। নিবন্ধন ছাড়াই চলছে এসব স্বাস্থ্যসেবা। অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রয়েছে রোগীদের ভূল চিকিৎসার নামে হত্যা সহ নানাবিধ অভিযোগ।
কিছুদিন পূর্বে আমিরপুর এলাকার নোভা নামক একটি ক্লিনিকে ভূল চিকিৎসার জন্য মারা যায় নবজাতক এক শিশু। শিশুর মাতার অবস্থা বতর্মান আশঙ্কাজনক।
বটিয়াঘাটায় বন্ধের তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠান গুলো ছিলো,সোনালী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সূর্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার,সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সুন্দরবন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার,সফুরা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার,নোভা হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার,খারাবাদ বাইনতলা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার,এম আর সেন্ট্রাল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সম্প্রতি আরো দুটি ক্লিনিকের সন্ধান পায় কর্তৃপক্ষ। ক্লিনিক দুটি হলো মোহাম্মদ নগর হাসপাতাল এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার ও বটিয়াঘাটা ডিজিটাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
অনুমোদনহীন বেসরকারি হাসপাতাল,ক্লিনিক,ব্লাড ব্যাংক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে গত ২৯ আগস্ট থেকে অভিযান শুরু করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বতর্মান অব্যাহত রয়েছে দেশব্যাপী অভিযান। বটিয়াঘাটা সোনালী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, আমাদের নিবন্ধন নাম্বার ৭৮০৪৬। কিন্তু বটিয়াঘাটা হাসপাতালে কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, উক্ত নিবন্ধনের মেয়াদ নাই। তাই তাদের নতুন করে সব কিছু কাগজপত্র ঠিক করতে বলেছি।
অন্যদিকে খারাবাদ বাইনতলা ক্লিনিক ও এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এর কর্তৃপক্ষর সাথে কথ বলতে চাইলে উকিল ও সাংবাদিক পরিচয় দানকারি জনৈক ব্যক্তি বলেন, নিবন্ধন নাম্বার কেন বলবো আপনাকে। আপনি পরিষদ,সিভিল সার্জন অফিস ও ইন্টারনেটে সার্স দিয়ে দেখে নেন। নোভা হসপিটাল/ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, নিবন্ধন নাম্বার মনে নাই। আমি বাহিরে আছি। অফিসে গিয়ে আপনাকে নিবন্ধন নাম্বার দিব।
বটিয়াঘাটা ডিজিটাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জি : সৌরভ মন্ডল বলেন, নিবন্ধন এখনি পাইনি। তবে অনলাইনে আবেদন করেছি। সেই আবেদন নিয়ে আমাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি। বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন,উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা সহ নিবন্ধন বিহীন প্রতিষ্ঠানকে বৈধভাবে কাগজপত্র না করা পযর্ন্ত ক্লিনিকের সকল প্রকার কার্যকারিতা বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে ঐসকল প্রতিষ্ঠান তারা পুনোরায় তাদের পূর্বের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। খুলনার সিভিল সার্জন ড,মোঃ সুজতা আহমেদ এর সাথে তার মোবাইল নাম্বার 01789-356484 রে কল দিয়ে বার বির চেষ্টা করে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।