সর্বশেষ:

বাংলাদেশ-ভারত আর্ন্তজাতিক ছবি মেলা ২০২৩

বাংলাদেশ-ভারত আর্ন্তজাতিক ছবি মেলা ২০২৩

বাংলাদেশ-ভারত আর্ন্তজাতিক ছবি মেলা ২০২৩
Facebook
Twitter
LinkedIn

ডেস্ক রিপোর্ট :
সোহেল মাহমুদ ॥ শেষ হলো বাংলাদেশ-ভারত আর্ন্তজাতিক ছবি মেলা। ভারত-বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের আর্ন্তজাতিক এ ছবি মেলায় ভারত থেকে অংশ নেন ৪০ জন স্বনামধন্য চিত্র শিল্পী। তিন দিনের মেলায় ছবি ও ভাস্কর্য প্রদর্শনীর পাশাপাশি ছিল শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। পরিবেশ, সমাজ উন্নয়ন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর মেলায় অর্ধ শতাধিক ছবি প্রদর্শিত হয়।
গতকাল শনিবার বিকাল ৫টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারিতে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের চেয়ারম্যান রকিব হাসান, সহকারী অধ্যাপক বিমানেষ চন্দ্র বিশ্বাস, খুলনা বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ হমিদুর রহমান এবং কলকাতা থেকে আগত ভাস্কর বিমান নাগ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজয় ৭১’র সভাপতি আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের সহযোগী অধ্যাপক তারক চাঁদ ঢালী। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন, অম্লান বিশ্বাস ও অনামিকা সাহা তিন্নি, সঞ্চালনা করেন ‘অল বেঙ্গল আর্ট সোসাইটি’র সভাপতি অনিবার্ণ রানা ও বিজয় ৭১’র সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহবুব।

কোলকাতার ‘অল বেঙ্গল আর্ট সোসাইটি’র উদ্যোগে এবং খুলনার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিজয়’ ৭১’র ব্যবস্থাপনায় তিন দিনের এ আর্ন্তজাতিক ছবি মেলায় ছিল শশুসহ সব বয়সী মানুষের উপস্থিতি। মেলায় দর্শকদের দৃষ্টি কেড়েছে দুই দেশের পতাকা হাতে দুই শিশু ও বিশ^ কবি রবীন্দ্রনাথের ছবি, যেটি একেঁছেন ননী গোপাল মন্ডল। এছাড়া রাজীব দেবনাথ একেঁছেন একই গাছের দু’দিকে দুরকম পাতা একটি বাংলাদেশের পতাকা অন্যটি ভারতের, তিনি বলেন, ‘দুই বাংলার শেকড় একই’।

‘অল বেঙ্গল আর্ট সোসাইটি’র সভাপতি অনিবার্ণ রানা বলেন, বাংলাদেশের শিশুচিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নিয়ে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের সমন্বয়ে একটি শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও স্মরণিকা প্রকাশিত হবে। বিজয় ৭১’র সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহবুব বলেন, চিত্রঙ্কন আমরা আমাদের কোমলমতি শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায় তারই আলোকে আমাদের এই আয়োজন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, ভাষা, সংস্কৃতিসহ দুই বাংলার সাথে আমাদের একটি অনিন্দ মিল রয়েছে। এছাড়া আত্মীয়ের বন্ধনেও আমরা আবদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। তাই দুই দেশের মধ্যকার এ জাতীয় আয়োজন আগামী প্রজন্মকে আরও বেশী উৎসাহিত করবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana