
বিশেষ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের বেসরকারি স্বাস্থ্যখাতে সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান আদ-দ্বীন হাসপাতাল এক সময় ‘গরীবের হাসপাতাল’ হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে বর্তমানে সেই সুনাম অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুলনার বয়রা বৈকালি এলাকায় অবস্থিত আদ-দ্বীন হাসপাতালের শাখায় সরেজমিনে গিয়ে এসব অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পান সাংবাদিকরা। রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে এলেই নানা ধরনের অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে বাধ্য করা হচ্ছে। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে দাবি তাদের। অনেক ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, হাসপাতালের নির্ধারিত ল্যাব থেকে রিপোর্ট না করলে চিকিৎসক রোগী দেখবেন না।
ভর্তি করানোর সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কম খরচে চিকিৎসার আশ্বাস দিলেও ভর্তি হওয়ার পর ভিন্ন চিত্র দেখা যায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। রোগীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করিয়ে রাখা হচ্ছে, চিকিৎসক দেখাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি একাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, তারা বিভিন্ন সমিতির মাধ্যমে এখানে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু ভর্তি হওয়ার পর তাদের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত হতাশাজনক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর স্বজন বলেন, “ভাই, কী করব? এসেই দেখি এখানে অন্যরকম অবস্থা। পরীক্ষা না করলে রোগী দেখা হয় না, রিপোর্ট ছাড়া ডাক্তার দেখেন না।
রোগী ও স্বজনদের এমন অভিযোগে আদ-দ্বীন হাসপাতালের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চেষ্টা করা হলেও এই প্রতিবেদককে কোনো মন্তব্য দেওয়া হয়নি।















