“কৃষ্ণচূড়ার অপেক্ষা”
তুমি বলেছিলে ফিরবে,
ফিরতে গিয়ে কোন
মোহে আটকে গেলে!
তোমার আর ফেরা হলোনা,
ফেরার ওই পথের ধারে একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ রয়েছে,,
যদিও কস্মিনকালেও সে কৃষ্ণ বর্ণের নয়।
আমি সেই গাছের নিচে তোমার ফেরার অপেক্ষা করি।
আমি জানি তুমি আসবে না।
জানো! কৃষ্ণচূড়া গাছের মাথায় দুটো হলদে রঙের শালিকের নীড় আছে।
দিনে যখন খাবারের সন্ধানে পাখিগুলো এদিক ওদিক উড়ে যায়,
তখন যেন মনে হয় কৃষ্ণচূড়া অপেক্ষা করছে ঐ হলদে রঙের শালিক জোড়ার জন্য।
ঐ নীড়ে গোধূলি বেলায় পাখিরা ফিরে আসে ঘরের টানে।
আর কৃষ্ণচূড়ার অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়।
কিন্তু আমি জানি সবাই সবার টানে ফিরলেও ,
তুমি আমার টানে ফেরার পথ ধরে কখনো ফিরবে না।
“আর আমার অপেক্ষার প্রহরও শেষ হবেনা।”
মেঘের ছোঁয়া
খোলা আকাশের নিচে যেই বৃষ্টিতে আমি ভিজছি,
তুমিও কি সেই একই বৃষ্টিতে ভিজছো?
মেঘের যে কণা গুলো বৃষ্টি হয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় পড়ে আমাকে ভেজাচ্ছে,
সেই মেঘের সেই কণা গুলোও কি তোমাকে বৃষ্টি রূপে ফোঁটায় ফোঁটায় পড়ে স্পর্শ করছে?
কখনো ঝিরঝিরে কখনো মুষলধারে ছুঁয়ে দিচ্ছে একই আকাশের নিচে তোমাকে ও আমাকে।।
==তানভীর হোসেন==