
নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর মহসিন মহিলা কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে উদ্ভূত জটিলতায় আবারও হস্তক্ষেপ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। মোঃ মাহফুজার রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে, তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার তাগিদ দিয়েছে বিশ^বিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
কতৃপক্ষের দেয়া নোটিশে অধি-বহিঃভূত বিষয়ের শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়াকে ‘বিধি পরিপন্থি’ ঘোষণা করে। তার এ অবৈধ দায়িত্বটি অবিলম্বে বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মঙ্গলবারের দেয়া নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ৩১ জুলাই গভর্নিং বডি তৎকালীন অধ্যক্ষ মো. আব্দুল লতিফকে সাময়িক বরখাস্ত করে। একই সভায় কলেজের নিয়োগপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মো. মাহফুজার রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বিধিসম্মত ছিল।
কিন্তু বরখাস্ত থাকার অবস্থাতেই অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত ছাড়াই ১৪ আগস্ট ব্যবস্থাপনা বিষয়ের শিক্ষক নওরোজী কবিরকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেন। এ নিয়োগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকরির শর্তাবলী লঙ্ঘন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় স্পষ্ট জানায় এই নিয়োগের “কোনো বিধিভিত্তিক বৈধতা নেই” এবং নওরোজী কবিরের দায়িত্ব পালন “অবৈধ”। নোটিশে কলেজ গভর্নিং বডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গভর্নিং বডির মূল সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপাধ্যক্ষ মো. মাহফুজার রহমানকে অবিলম্বে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দিতে হবে এবং একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে তা বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাতে হবে। পত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর নির্দেশনা দেওয়া হলেও এখনো কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি পরিপন্থি। ভাইস চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে জারি করা এই পত্রে স্বাক্ষর করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক মো. আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার। নোটিশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, গভর্নিং বডির সদস্য এস.এম ফরিদ আক্তার এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।
সভাপতি ইকবাল হোসেন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমন্বয় কওে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নওরোজী কবির জানান, আমি বৈধ উপায়ে অধ্যক্ষ। তবে মাউশির ব্যাপারে তিনি কথা বলতে রাজি নয়















