
পাইকগাছা ( খুলনা ) প্রতিনিধি
খুলনার পাইকগাছা আ’লীগ থেকে এনসিপিতে যোগদানকারি বহুল আলোচিত মোঃ মিনারুল ইসলাম সানা ওরফে টোল মিনারুলকে এনসিপি থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় নাগরিক পার্টির পাইকগাছা উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী হাফিজ বিন আমীন ও যুগ্ম সমন্বয়কারী জিএম মিসবাহ আহমাদস্বাক্ষরিতই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আ’লীগ সম্পৃক্ততা, সাংবাদিকদের উপর হামলা, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ একাধিক সুস্পষ্ট অভিযোগে মোঃ মিনারুল ইসলাম সানাকে দল থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা নেতাদের সমন্বিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো দলীয় আদর্শ ও নীতির পরিপন্থী হওয়ায় এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
দলে শৃঙ্লা রক্ষা ও সংগঠনের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে ব্যক্তিগত স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার কিংবা সাংবাদিকদের উপর হামলার মতো কর্মকাণ্ড কোনো ভাবেই এনসিপি বরদাশত করে না।
দলের নীতি-আদর্শে যারা অনুগত নয়, তাদের জন্য এনসিপিতে কোনো জায়গা নেই। উল্লেখ্য মোঃ মিনারুল ইসলাম সানার বেকারি সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করায় সোমবার সকালে স্থানীয় সাংবাদিক শাহাজামান বাদশার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে লাঞ্চিত করা হয়।
মিনারুল সানা বলেন,জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে আমার কথা হয়েছে। উপজেলা নেতৃবৃন্দ জেলাকে না জানিয়ে আমাকে প্রেসরিলিজের মাধ্যমে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছে। তবে ওটা কিছু না।জেলা নেতৃবৃন্দ সংশোধন করে প্রেসরিলিজ একটু দিচ্ছে।
পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট এফ,এম,এ রাজ্জাক বলেন, নিঃসন্দেহ এটা দুঃখজনক এবং মানবাধিকার লংঘন করেছে। আমি শাহাজামান বাদশাকে থানায় সাধারন ডায়েরী করতে বলেছি। সন্ধ্যার পর মিনারুল আমাকে ফোন করে বিষয়টি মিমাংসার জন্য অনুরোধ করতেছে।আমি তাকে বলেছি সকাল ৮টার ঘটনা, এখন সন্ধ্যার পরে ফোন করছো কেন? আমরা সকালে সকল সাংবাদিক না বসে কিছু বলতে পারব না।