
পাইকগাছা ( খুলনা) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক আলহাজ্ব মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। পিআর পদ্ধতি ছাড়া কোন নির্বাচন এদেশের জনগণ মানবে না। তিনি বলেন যারা বারবার ক্ষমতায় অনিয়ম দূর্নীতি লুটপাট আর ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে তাদের কে জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
এ দেশের মানুষ ইসলামি দলকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। খুলনা -৬ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ শনিবার বিকালে পাইকগাছা পৌরসভা মাঠে জুলাই ঘোষণা, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সহ ৫ দফা দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন নির্বাচন নিয়ে যারা জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে তাদের জানা উচিত জামায়াত নির্বাচনমূখী একটি রাজনৈতিক দল। দলটি এক সময় ৩’শ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন ছাড়া সকল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তিনি বিএনপি কে ইঙ্গিত করে বলেন ৫ আগস্টের পর কিছু দিন দেশে কোন সরকার ছিল না। এ সুযোগে তারা লুটপাট করেছে।
ওই দেশের ১৮ কোটি মানুষ কে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা নিরাপত্তা দিয়েছে। যারা ক্ষমতায় গিয়ে ৫ বার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাদের কে জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আগামীতে ইসলামি দল সরকার গঠন করে দেশের সকল ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ইনশাআল্লাহ। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়ি পাল্লা প্রতীকে ভোট দিতে জনগণের প্রতি আহবান জানান। একই সাথে তিনি প্রশাসন কে নিরপেক্ষ থাকার আহবান জানান। উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা সাঈদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আলতাফ হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা গোলাম সরোয়ার, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আমিনুল ইসলাম, কাজী তমজিদ আলম, প্রভাষক আব্দুল মোমিন সানা, জেলা শিবিরের সভাপতি আবুজার গিফারী, কয়রা আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা কামাল হোসেন, ইসলামি আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি মুফতি আহমদ আলী, জামায়াতের উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা বুলবুল আহমেদ, মাওলানা আব্দুল খালেক, পৌর আমীর ডাঃ জিএম আসাদুল হক, নায়েবে আমীর মাওলানা স ম আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ শফিয়ার রহমান। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ গ্রহণ করে।